ধর্মীয় গোঁড়ামিকে উপেক্ষা করে করোনায় মৃত মুসলিমদের দেহ পুড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত শ্রীলঙ্কার, মামলা দায়ের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের
করোনা সংক্রমণ এড়াতে এবার কড়া পদক্ষেপ নিল শ্রীলঙ্কা সরকার। আর ধর্মীয় গোঁড়ামিকে প্রশ্রয় দেওয়া নয়। করোনায় মৃত মুসলিমদের দেহ পুড়িয়ে ফেলার নির্দেশ দিল কলম্বো সরকার। এই নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
শ্রীলঙ্কায় দিনের পর দিন করোনা সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। ইতিমধ্যেই প্রায় ৩০ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন সে দেশে। মৃত্যুর সংখ্যা ১৪২। স্বাস্থ্যসেবা পরিকাঠামো উন্নত থাকায় এই মারণ ভাইরাসকে আটকানো কোনওভাবেই সম্ভবপর হচ্ছে না এই দেশের পক্ষে। এমন অবস্থায় দাঁড়িয়ে বেশ কিছু করোনায় মৃত বেশ কিছু মুসলিমদের দেহ পুড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ওই দেশের সরকার।
জানা গিয়েছে, পরিবারের আপত্তি থাকা সত্ত্বেও করোনায় মৃত ১৯জন মুসলিমের দেহ পুড়িয়ে দেওয়া হবে বলে নির্দেশ দেয় প্রশাসন। সরকারের এই সিদ্ধান্তে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। কিন্তু মৃতদের পরিবারের তরফ থেকে দেহ নিতে অস্বীকার করা হয়েছে। তাদের দাবী, দেহ পুড়িয়ে ফেলে তাদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করা হয়েছে। কিন্তু সরকার যে নিজের সিদ্ধান্ত বদল করবে না, এ স্পষ্ট জানানো হয়েছে।
করোনা ঠেকানোর সবরকম প্রয়াস মূলত ব্যর্থ এই দেশে। তাই এই সিদ্ধান্ত সরকারের। তাই পরিবার মৃতদেহ নিতে অস্বীকার করায় সেগুলি সৎকারের সিদ্ধান্ত নেন শ্রীলঙ্কার অ্যাটর্নি জেনারেল দাপপুলা ডে লিভেরা। জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ৫জনের দেহ সৎকার করা হয়েছে। বাকী দেহগুলিও শীঘ্রই সৎকার করা হবে বলে জানায় প্রশাসন। তাদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করা হয়েছে বলে সুপ্রিম কোর্টে এই বিষয় নিয়ে ১২টি মামলা দায়ের করেছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়।
প্রসঙ্গত, করোনার এই বাড়বাড়ন্ত পরিস্থিতিতে কিছুটা আশার আলো দেখিয়েছিল ফাইজারের টিকা। ব্রিটেনে সেইমতো শুরুও হয় গণ টিকাকরণ। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা না কাটতেই বিপত্তি। ব্রিতেন স্বাস্থ্যকর্তাদের তরফ থেকে জানানো হয় যে, যাদের অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে তাদের এই টিকা না নিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার যে সমস্ত মানুষ টিকা নেন তাদের মধ্যে অনেকেরই অ্যালার্জির সমস্যা ছিল। টিকা নেওয়ার পরই তাদের শরীরে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।