মার্কিন নাগরিকদের চাকরি বাঁচাতে এবার অভিবাসন স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিলেন ট্রাম্প
করোনা ভাইরাসের দাপটে বিশ্বব্যাপী জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এর সব থেকে বেশি প্রভাব পড়েছে আমেরিকায়। সেখানে একদিকে যেমন সীমাহীন মৃত্যু অন্যদিকে তেমনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অৰ্থনীতি। এখনও পর্যন্ত করোনাভাইরাস পজিটিভের সংখ্যা সাড়ে সাত লক্ষের বেশি। মৃত্যু ৪০,৫০০-র বেশি। সেখানকার প্রদেশ ও স্থানীয় সরকার, প্রশাসন লোকজনকে বাড়়িতে থাকার বা যেখানে আছেন, সেখানেই থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। এই লকডাউনের জেরে কর্মহীন হয়ে পড়ছেন হাজারো মানুষ, উৎপাদনও তলানিতে এসে পৌঁছেছে। সেখানকার প্রায় ৯০ শতাংশের মানুষের জীবন এখন আশঙ্কার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। তাই এই দুর্যোগের মুখে দাঁড়িয়ে আমেরিকা অভিবাসন (Immigration) বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল। ট্রাম্প মঙ্গলবার সকালে ট্যুইট করে জানান, ‘আমেরিকার নাগরিকদের কাজ বাঁচানোর প্রয়োজনে আমি আমেরিকায় সাময়িক সময়ের জন্য অভিবাসন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তে সাক্ষর করতে চলেছি।’
In light of the attack from the Invisible Enemy, as well as the need to protect the jobs of our GREAT American Citizens, I will be signing an Executive Order to temporarily suspend immigration into the United States!
বিজ্ঞাপন— Donald J. Trump (@realDonaldTrump) April 21, 2020
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপনভাইরাসের কু-প্রভাব এতটাই ভয়াবহ আকার নিয়েছে যে, সেখানে মানুষ একদিকে নিজের প্রাণ হারাচ্ছে আর অন্যদিকে কাজ হারাচ্ছে। আমেরিকায় রেকর্ড হয়েছে, ২২ মিলিয়ন মার্কিন নাগরিক গত মার্চে বেকার ভাতা ও অন্য সুযোগসুবিধা দাবি করেছিলেন, এপ্রিলের গোড়ায় সেই তালিকায় আরও কয়েক লক্ষ মানুষ সামিল হয়েছেন। অর্থাৎ বিশ্ব অর্থনীততে মহামন্দার পর ধীরে ধীরে যে সাফল্য এসেছিল করোনার দাপটে, তা আজ নিশ্চিহ্ন প্রায়। করোনা ভাইরাসের দাপট সামলাতে যে অস্বাভাবিক কিছু পদক্ষেপ নিতে হয়েছে, তা বিরাট ধাক্কা দিয়েছে অর্থনীতিকে।
মার্চে খুচরো বিক্রিতে রেকর্ড পতন হয়েছে। ১৯৪৬ এর পর থেকে কারখানায় উৎপাদনেও অনেক ক্ষতি হয়েছে। করোনা রুখতে দেশে যে লকডাউনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিল তাতে স্তব্ধ হয়েছে সমস্ত কাজ। অর্থনীতিবিদদের বক্তব্য, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে সবচেয়ে তীব্র গতিতে মন্দা গ্রাস করে চলেছে, তার তীব্র সংকোচন হতে পারে প্রথম তিন মাসেই।
বিজ্ঞাপনঅন্যান্য তথ্য-পরিসংখ্যানও দেখাচ্ছে যে, উৎপাদন সংক্রান্ত কাজকর্মও ১৯৮০-তে যে পতন দেখা গিয়েছিল, সেই স্তরে হ্রাস পেয়ে নেমেছে।
এই ভেঙে পড়া অর্থনৈতিক পরিকাঠামোতে ওয়াশিংটনে জনপ্রতিনিধিরা ক্ষুদ্র শিল্প, হাসপাতালগুলিকে সঙ্কট থেকে উদ্ধারের জন্য সম্ভাব্য ৪৫০ বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থমূল্যের প্যাকেজ দেওয়া নিয়ে বিবাদ চালিয়ে যাচ্ছেন। এ নিয়ে আজ হতে পারে মতদান, জানিয়েছেন রিপাবলিকান সেনেটর মিচ ম্যাককনেল।
বিজ্ঞাপন