ক্রমে কোণঠাসা বেজিং! চীনের মুসলিম অত্যাচারের প্রতিবাদে আন্তর্জাতিক আদালতে উইঘুর মুসলিমরা!
বিভিন্ন কারণে চাপে রয়েছে শি জিনপিং-এর দেশ। পশ্চিম চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলমানদের ওপর গত এক দশক ধরে অকথ্য অত্যাচার চালাচ্ছে চীন প্রশাসন। অবস্থা এমন পর্যায়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছে যে চীনা সেনা ও পুলিশরা ওই প্রদেশের মুসলিমদের মানবাধিকার এবং ন্যূনতম স্বাচ্ছন্দ্যটুকু কেড়ে নিয়েছে। ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষা করার অধিকারটুকুও আর তাঁদের হাতে নেই। আর এই অত্যাচারের বিরুদ্ধেই আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালতে চীনাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে প্রবাসী উইঘুর মুসলিমদের দুটি আন্তর্জাতিক সংগঠন।
নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগ শহরে অবস্থিত এই আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালতের সদস্য নয় শি জিনপিং-এর দেশ। আর তার জন্যই এই অভিযোগ নিয়ে গা ঘামাতে রাজি নয় চীন। এই মামলার শুনানি হবে কার্যত একতরফা। কারণ চীন যেহেতু এই আদালতের সদস্যই নয়, তাই সেখানে কোনও আইনজীবীই পাঠাবে না চীন। ফলে এই একতরফা শুনানিকে আদৌ কোনও গুরুত্ব দিচ্ছে না বেজিং। তাতে অবশ্য দমে যাবার পাত্র নয় উইঘুররা।
সুবিচার পাওয়ার লক্ষ্যে তাঁরা চীনা কমিউনিস্ট পার্টি এবং চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বিরুদ্ধে নানা বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে। তাঁদের দাবি, ঠাণ্ডা মাথায় লাগাতার গণহত্যা চালাচ্ছে চীনের সেনা ও পুলিশ। লক্ষ লক্ষ উইঘুর মুসলিম নিহত বা নিখোঁজ। এর বিরুদ্ধে তদন্ত করতে জিনজিয়াং প্রদেশে তদন্তকারী দল পাঠাক রাষ্ট্রসংঘ বা আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালত। উইঘুরদের দু’টি সংগঠন, ‘প্রবাসী ইস্ট তুর্কিস্তান সরকার’ এবং ‘ইস্ট তুর্কিস্তান ন্যাশনাল অ্যাওয়াকেনিং মুভমেন্ট’ চীনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।
অভিযোগে তাঁরা জানিয়েছে কম্বোডিয়া, তাজিকিস্তান, কাজাখস্তান এই তিন দেশের উইঘুরদের উপর গত চার দশক ধরে অত্যাচার করে গণহত্যা চালিয়েছে চীনের সেনা।