শ্মশানপুরীর মতো ভয়াবহতা গ্রাস করেছে আমেরিকাকে, প্রাণহানির সংখ্যা ছাড়াল ৫০ হাজার
করোনা সংক্রমনে সারা বিশ্ব এখন বিধ্বস্ত। চীন থেকে ছড়িয়ে এই মারণ ভাইরাস এখন সমস্ত ভু-গোলকে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। আর এখন তার সব থেকে প্রিয় বিচরণ ক্ষেত্র হলো আমেরিকা। একদিন যেখানে মানুষ হেঁটে বেড়াত, ঘুরে বেড়াত আজ সেখানে মানুষ কফিন বন্দী হয়ে শেষযাত্রায় চলেছে। প্রথম থেকেই বিশ্বের সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ দেশগুলির মধ্যে আমেরিকার নাম ঘোরাফেরা করত। কিন্তু এবার যেন সব লিমিট ছাড়িয়ে তা একদম শীর্ষে পৌঁছে গেছে।
একদিক অর্থ, তথ্যপ্রযুক্তি, শক্তির দিক থেকে এগিয়ে থাকা দেশ আজ করোনা‘র মৃত্যুমিছিলেও সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে প্রায় ২,৪১৬ জনের। ভারতীয় সময় শুক্রবার পর্যন্ত সেখানে করোনার প্রকোপে প্রাণ হারিয়েছেন ৫০,৪৪২ জন। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৩৪,৮২৮ জনের শরীরে এই ভাইরাসের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। এর ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে প্রায় আট লক্ষ একানব্বই হাজার। এর ফলে মোট আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যার দিক দিয়ে বিশ্বের অন্য দেশের তুলনায় একলাফে অনেকটাই এগিয়ে গেছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেশ।
এর আগে বৃহ্স্পতিবার হোয়াইট হাউসে এক সাংবাদিক বৈঠকে আমেরিকার উপর হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। চিনের নাম না নিয়েই তিনি বলেন, ১৯১৭ সালের পরে এই ছবি আর কখনও দেখেনি আমেরিকা।এটা শুধুমাত্র ফ্লু নয়। এটা আমাদের ওপর একপ্রকার হামলা। তবে এই সমস্যার দ্রুত সমাধান করতে হবে। নাহলে মৃত্যুমিছিল আরও বাড়তে থাকবে। সমাধান ছাড়া আমাদের কাছে আর কোনও উপায় নেই।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ১০ এপ্রিল একদিনে আমেরিকায় করোনায় আক্রান্ত হন ৩৫,৫৭৯ জন। তারপর থেকেই প্রায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমনের হার। এরপর গত ১৫ এপ্রিল একদিনে ২,৫২৪ জনের মৃত্যু হয় সেখানে। তারপর থেকে দিন-প্রতিদিন প্রায় ২,০০০ জন করে মারা যাচ্ছে মার্কিন মুলুকে। অবশেষে ২৪ এপ্রিলের মধ্যে ৫০ হাজারের সীমা ছাড়াল মৃত্যু সংখ্যা।