ধিক্কার! উইঘুর মুসলিমদের ওপর অত্যাচারের সীমা পেরোলো চীন! জুম্মাবারে জোর করে খাওয়ানো হল শুয়োরের মাংস
উইঘুর মুসলমানদের উপর অত্যাচারের কথা অজানা নেই বিশ্বের। নিজেদের কর্মকাণ্ডের জন্য ইতিমধ্যেই যথেষ্ট মুখে পড়েছে আন্তর্জাতিক স্তরে। কিন্তু কুছ পরোয়া নেহি। নিজেদের স্বভাবে একচুল পরিবর্তন করেনি শি জিনপিংয়ের দেশ।
২০০৯ সালে শিনজিয়াং প্রদেশের কিছু জায়গায় সাম্প্রদায়িক অশান্তি হওয়ার পর থেকে উইঘুর মুসলিমদের উপর অকথ্য অত্যাচার চালাচ্ছে চীনা প্রশাসন।
অত্যাচার চালাতে চালাতে তা চরমতম সীমা পার করে গেছে। দেশের একদম পশ্চিমে অবস্থিত উইঘুর অধ্যুষিত এই প্রদেশে বসবাসকারী মানুষদের উপর অত্যাচারের কাহিনী শুনে এখন কেঁপে উঠছে গোটা বিশ্ব।
Related Posts
মানবাধিকার সংগঠন অ্যামেনেস্টি কিংবা ইসলামিক দেশগুলির সংগঠন সবাই এই বিষয়ে বেজিংয়ের বিরুদ্ধে মুখ খুললেও পাত্তা করেনি চীনা প্রশাসন।
আর এবার আরও এক ভয়ানক তথ্য প্রকাশ্যে এলো, সম্প্রতি জানা গেছে, ইসলাম ধর্মের পবিত্র দিন হিসেবে খ্যাত শুক্রবার অর্থাৎ জম্মুবারে বন্দিশিবিরে থাকা উইঘুর মুসিলমদের জোর করে ইসলাম ধর্মে নিষিদ্ধ শুয়োরের মাংস খাওয়াচ্ছে শি জিনপিংয়ের সরকার।
সম্প্রতি শিনজিয়াংয়ের একটি রি-এডুকেশন ক্যাম্পে বকলমে বন্দিশিবিরে দুর্বিষহ জীবন কাটানো দুই সন্তানের মা সায়রাগুল সাউথবে নিজের লেখা একটি বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে এসে বন্দি জীবনের দুর্বিষহ স্মৃতি ঘেঁটে বলেন, বর্তমানে শিনজিয়াংয়ের ওই বন্দিশিবির থেকে কয়েক হাজার মাইল দূরে সুইডেনে থাকলে পুরনো দিনের আতঙ্ক তাড়া করে বেড়ায়। আজ একজন সফল চিকিৎসক ও শিক্ষাবিদ হওয়ার পরেও যা ভুলতে পারেননি সায়রাগুল।
নিজের বক্তব্যে তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘ওই ক্যাম্পে প্রতি শুক্রবার আমাদের জোর করে শুয়োরের মাংস খাওয়ানো হত। ইচ্ছা করেই মুসলিমদের কাছে পবিত্র ওই দিনটি বেছে নিয়েছিল ওরা। কেউ ওই মাংস খেতে না চাইলে তাকে কঠোর শাস্তি দেওয়া হত। আসলে ওরা আমাদের চিন্তাধারা, সংস্কৃতি ও ধর্মীয় আচার-আচরণগুলিকে আমাদের মন থেকে মুছে দিতে চাইত।