ফের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন দাউদ ইব্রাহিম, জানেন কি কে এই সুন্দরী?
সম্প্রতি জানা গিয়েছিল, ডন দাউদ ইব্রাহিম পাকিস্তানের করাচিতে বসবাস করেন। একথা পাকিস্তান প্রথমে স্বীকার করে নিলেও পরে ইসলামাবাদ পাল্টি খেয়ে যায় যে, ভারতীয় সংবাদমাধ্যম পাকিস্তানকে বদনাম করার জন্য ভুয়ো খবর রটাচ্ছে। এবার প্রকাশ্যে আসছে আরেকটি চাঞ্চল্যকর তথ্য। দাউদ ইব্রাহিম নাকি প্রেমে পড়েছেন! তাও আবার এক পাকিস্তানি নায়িকার সঙ্গে! যে নায়িকা হঠাৎ করেই আইটেম গার্ল থেকে বড় বড় চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ পেতে শুরু করেছেন এবং গত বছর তাঁকে পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় অসামরিক পুরস্কার তমগা-ই-ইমতিয়াজ ভূষিত করা হয়েছিল। সেই অভিনেত্রীর নাম মেহউইশ হায়াত। বছর ৩৭ এর এই সুন্দরীকে নিয়ে এখন মাতামাতি শুরু হয়েছে ভারত ও পাকিস্তান সংবাদমাধ্যমে।
দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে চলচ্চিত্র জগতের নায়িকাদের প্রেমের সম্পর্ক নতুন কিছু নয়। একটা সময় ছিল যখন বলিউড অভিনেত্রীদের সঙ্গে দাউদের নাম প্রায়ই জড়াতো। তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন মন্দাকিনী এবং মণিকা বেদী। এছাড়াও দাউদ ইব্রাহিমের টাকায় বলিউডের প্রচুর সিনেমার শুটিং করা হয়েছে। বলিউড এবং আন্ডারওয়ার্ল্ড মিথোজীবী প্রক্রিয়ায় বেঁচে রয়েছে বলে ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা।
পাকিস্তানে এসেও অভিনয় জগতের সঙ্গে খুব বেশিদিন নিজের সংস্রব দূরে রাখতে পারেননি দাও।২০১৯ সালে যখন মেহউইশকে যখন তমগা-ই-ইমতিয়াজ দেওয়া হয়েছিল, তখন প্রচুর লোক প্রশ্ন তুলেছিলেন, কেনও এই অনামী অভিনেত্রীকে এত বড় সম্মান দেওয়া হচ্ছে?
সেই সময় পাকিস্তানের একটি ওয়েব পোর্টালে খবর বেরিয়েছিল যে, অভিনয়ের জন্য নয় পাকিস্তানের বসবাসকারী এমন একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি রয়েছেন যার সঙ্গে সম্পর্কের কারণেই মেহউইশকে এই সম্মানে ভূষিত করা হয়েছে। এরপরেই পাকিস্তানে ট্রোলের মুখে পড়তে হয় মেহউইশ হায়াতকে। তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন হায়াত।
কে এই প্রভাবশালী ব্যক্তি খোঁজ শুরু হয়। জানা যায় এই ব্যক্তির কেবল পাকিস্তানি সরকার নয় দেশের সেনাবাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থার ওপরও প্রভাব রয়েছে। যদিও স্পষ্ট করে কেউ কিছুই বলছে না তবে সমস্ত ইঙ্গিতই যাচ্ছে ১৯৯৩ মুম্বই বিস্ফোরণের প্রধান অভিযুক্ত ডন দাউদ ইব্রাহিমের দিকেই। যদিও এই ব্যাপারে খোলসা করে কেউ এখনো কোনো কথা বলছে না।