করোনার তৃতীয় ঢেউ প্রাথমিক স্তরে রয়েছে, সতর্ক বাণী WHO-এর
করোনার তৃতীয় ঢেউ শুরু হয়ে গিয়েছে। তা এখন প্রাথমিক স্তরে রয়েছে। আজ, বৃহস্পতিবার এই বিষয়ে সকলকে সতর্ক করলেন WHO প্রধান টেড্রোস আধানম ঘেব্রিয়েসুস। তিনি জানান, “দুর্ভাগ্যবশত আমরা করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের প্রাথমিক স্তরে রয়েছি”।
গতকাল, বুধবার তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন ডেল্টা স্ট্রেনের দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার বিষয়ে। জানান, ডেল্টার দাপট বাড়তে শুরু করেছে। এরই মধ্যে ফের সামাজিক মেলামেশা বৃদ্ধি ও করোনার নানান বিধি লঙ্ঘনের ফলে ফের সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী হতে শুরু করেছে। আজও সেই একই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন তিনি।
WHO-এর প্রধান বলেন, “ডেল্টা স্ট্রেন ইতিমধ্যেই ১১১টিরও বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। মনে করা হচ্ছে, অচিরেই এটি প্রধান করোনা স্ট্রেন হয়ে উঠবে, যদি না ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়ে থাকে”।
WHO-এর পরিসখ্যান অনুযায়ী, গত চার সপ্তাহে গোটা বিশ্বে ফের সংক্রমণ বাড়ছে হু হু করে। টানা দশ মাস ম্রিত্যির সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও, তা ফের বাড়তে শুরু করেছে বিশ্বজুড়ে। এর জেরে বেশ সন্ত্রস্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এই বিষয়ে অবগত করার পাশাপাশি টিকাকরণের বিষয়েও নানান মন্তব্য করেন WHO প্রধান।
আরও পড়ুন- বছর গড়ালেই উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন, এর আগেই বারাণসীকে ১৫৮৩ কোটির প্রকল্প উপহার মোদীর
উল্লেখ্য, এর আগে নানান ধনী দেশগুলির সঙ্গে অন্যান্য দেশের টিকার পরিমাণে পার্থক্য রয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন ঘেব্রিয়েসুস। এদিন ফের এই বিষয় নিয়েই উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা গেল তাঁকে।
তিনি জানান, আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রতিটি দেশের অন্তত ১০ শতাংশ, ২০২১ সালের শেষে ৪০ শতাংশ এবং ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে ৭০ শতাংশের টিকাকরণ সম্পূর্ণ করতে হবে। এই বিষয়ে সমস্ত দেশের কাছে আবেদনও জানিয়েছেন তিনি।
তবে করোনার মতো মারণ ভাইরাসকে রুখতে যে টিকাই একমাত্র অস্ত্র তা নয়। একথাও এদিন মনে করিয়ে দেন ঘেব্রিয়েসুস। এর পাশাপাশি তিনি এও বলেন যে বিশ্বের অনেক দেশ ই এই ভাইরাসকে রুখে দেখিয়েছে। এই কারণে দরকার জনসচেতনা।