মৃত ছেলের বীর্য দিয়েই সন্তানধারণ করতে হবে, মানসিক চাপ শাশুড়ির, সরব বিধবা মহিলা

বিয়ের পর মহিলাদের উপর পারিবারিক চাপ বা হিংসার ঘটনা নতুন কিছু নয়। প্রায়ই দেখা যায় যৌতুক বা কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়ার ফলে শ্বশুরবাড়িতে নানান মহিলাকে অত্যাচারিত হতে হয়।
এরকমই এক মানসিক চাপের ঘটনার কথা সামনে এল। তবে অন্যান্য ঘটনার থেকে এই ঘটনা একটু আলাদা। এই বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন ওই মহিলা।
মিরর ইউকে-তে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। ব্রিটেনের ওই মহিলার কথায়, তাঁর স্বামীর মৃত্যুর আগে বীর্য ফ্রিজ করা হয়েছিল। এক্ষেত্রে বলে রাখি, পরবর্তীকালে সন্তানধারণে সমস্যার আশঙ্কায় বা স্বেচ্ছায় নির্বীজকরণের পরিকল্পনা থাকলে অনেকে বীর্য বিশেষ উপায়ে ফ্রিজ করে প্রিজার্ভ করান। পশ্চিমী দেশে বিশেষ ক্লিনিকে এমনটা করা হয়।
আরও পড়ুন- নতুন বন্ধুত্বের সূত্রপাত! নিখিলের নতুন ছবিতে রাইমা কীসের ইঙ্গিত দিলেন?
এ ক্ষেত্রে মহিলার স্বামীর ক্যানসার ছিল। কেমো থেরাপির কারণে বন্ধ্যাত্বের আশঙ্কা থাকে। এই কারণে আগে থেকে শুক্রাণু সংরক্ষণ করে রাখেন ওই ব্যক্তি। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত ওই ব্যক্তিকে বাঁচানো যায়নি। কিন্তু মহিলার অভিযোগ, তাঁর স্বামীর মৃত্যুর পর থেকেই তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাঁর উপর চাপ সৃষ্টি করছেন যে মৃত স্বামীর সংরক্ষিত ওই বীর্যের মাধ্যমে ওই মহিলা যাতে গর্ভধারণ করেন।
শ্বশুরবাড়ির এমন চাপের ফলে তাঁর জীবন অসহ্য হয়ে উঠেছে বলে জানান ওই মহিলা। তিনি এও জানান যে এভাবে তাঁর পক্ষে সন্তান ধারণ করা সম্ভব নয়। তিনি তা সত্ত্বেও তাঁর শাশুড়ি তাঁর উপর চাপ সৃষ্টি করছেন। পরবর্তী প্রজন্মকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যই তিনি এমনটা করছেন বলে জানান ওই বিধবা মহিলা। গোটা বিষয়টি যে বেশ অদ্ভুত ধরণের, তা বলাই বাহুল্য।