দেশনিউজ

থানায় ডেকে সাংবাদিককে অ’র্ধ’ন’গ্ন করে চরম হেনস্থা! বিজেপি শাসিত রাজ্য মধ্যপ্রদেশের এমন লজ্জাজনক ঘটনায় ক্ষোভ গোটা দেশে

সাংবাদিককে থানায় ডেকে অ’র্ধ’ন’গ্ন করে চরম হেনস্থা। মধ্যপ্রদেশের সিধি জেলার এই ঘটনা এই মুহূর্তে ক্ষোভের আগুন জ্বালিয়েছে গোটা দেশে। শুধু সাংবাদিকই নন, এরই সঙ্গে আরও সাতজনকে একইভাবে হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে মধ্যপ্রদেশের পুলিশের বিরুদ্ধে। পুলিশের এমন কার্যকলাপে সমালোচনার ঝড় সব মহলে। এই ঘটনার নিন্দায় সরব হয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও।

ঘটনাটি ঘটেছে বেশ কিছুদিন আগে। অভিযোগ, মধ্যপ্রদেশের স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক কেদারনাথ শুক্লা এবং তাঁর ছেলের ভুয়ো ফেসবুক আইডি নিয়ে প্রতিবাদ দেখান ইন্দ্রভটী ড্রামা স্কুলের ডিরেক্টর নীরজ কুন্দ্রা। তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই খবর করতেই যান ইউটিউব সাংবাদিক কণিষ্ক তিওয়ারি-সহ অন্যান্য সাংবাদিকরা।

সন্দেহভাজন হিসেবে আটজনকে থানায় ডেকে পাঠানো হয়। থানার ভিতরে নিয়ে গিয়ে তাঁদের অর্ধনগ্ন করে হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। সেই ছবি ফাঁস করেন দুই তদন্তকারী অফিসার। আর এরপরই গোটা দেশে শোরগোল পড়ে যায়। চাপে পড়ে মধ্যপ্রদেশ পুলিশ।

থানার ভিতরের ছবি এভাবে প্রকাশ্যে আনার জন্য ওই ২ পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে প্রাথমিক তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানান উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, ওই দু’জনকে বরখাস্ত করাও হয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও বিতর্কের আঁচ কমেনি। সাংবাদিকদের এভাবে হেনস্থা করার প্রতিবাদে থানার সামনে বিক্ষোভে দেখানো হয় মধ্যপ্রদেশের শিল্পীমহলের একাংশের তরফে।

এই ঘটনায় সিধির সাংবাদিক ব্রিজেশ পাঠক নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে বলেন, “বিক্ষোভ চলাকালীন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান এবং স্থানীয় বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছিলেন কয়েকজন। পুলিশ তাঁদের থামিয়ে বলতে থাকে, শিল্পী নীরজ কুন্দরার বিরুদ্ধে যথাযথ প্রমাণ রয়েছে। কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। থানার ভিতরে নিয়ে গিয়ে বিবস্ত্র করা হয় তাঁদের। এর মধ্যে ছিলেন আমাদেরই এক সহকর্মী সাংবাদিক। ২ পুলিশ অফিসার তাদের ছবি তুলে ভাইরাল করে দেন”।

নানান মহলে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করা হয়েছে। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনার প্রতিবাদ করে টুইটে লেখেন, “এটাই আচ্ছে দিনের নমুনা। নরেন্দ্র মোদীর জমানায় দমনপীড়নই নিয়ম হয়ে দাঁড়াচ্ছে। কেউ প্রতিবাদ করলেই নেমে আসছে নির্মম অত্যাচার। রাষ্ট্রশক্তির এভাবে অপব্যবহার হচ্ছে। লজ্জাজনক!”

Related Articles

Back to top button