যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত অপরাধীকে জেলের মধ্যেই চু’ম্ব’ন বিচারকের, দুজনের রোম্যান্সের ভিডিও ভাইরাল নেটদুনিয়ায়

সম্প্রতি একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যা তিনি বেশ শোরগোল পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে জেলের মধ্যেই এক আসামীকে চু’ম্ব’ন করছেন এক মহিলা। পরে জানা যায়, সেই মহিলা হলেন একজন বিচারপতি।
একটি বিচারকের প্যানেল ওই আসামীকে খুনের অপরাধে যাবজ্জীবন শাস্তি দিয়েছে। সেই বিচারকের প্যানেলেই ছিলেন ওই চু;ম্ব’নরত ওই বিচারক। নাম মারিয়েল সুয়ারেজ। তিনি আসামীর শাস্তির বিরোধিতা করেন। জেলের মধ্যে সেই আসামীকে চু’ম্ব’ন করার ভিডিও ধরা পড়ে যা এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।
ঘটনাটি ঘটেছে আর্জেন্টিনাতে। হত্যার অপরাধে ক্রিশ্চিয়ান বাস্টোসকে যাবজ্জীবন বন্দির সাজা দেওয়া হয়। সেই অপরাধীর সঙ্গেই বিচারক মারিয়েল সুয়ারেজের লিপ-লকের ভিডিও সিসিটিভিতে রেকর্ড হয়ে যায়। এই ভিডিও মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে পড়ে। তা নিয়ে শুরু হয় ব্যাপক হইচই।
এই ভিডিও সম্পর্কে মারিয়েল সুয়ারেজ জানান যে, ক্যামেরা ভুল অ্যাঙ্গেল থেকে সেটি রেকর্ড করার ফলে সকলের কাছে ভুল বার্তা পৌঁছচ্ছে। ডেইলি স্টারে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে দাবী করা হয় যে বিচারক মারিয়েল সুয়ারেজ যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত হত্যাকারী আসামী ক্রিস্টিয়ান বাস্টোসকে শাস্তি না দেওয়ার জন্য লড়াই করেছিলেন।
তবে এরপরই সেই আসামীর সঙ্গেই তাঁর চুম্বনরত ভিডিও সামনে আসতেই মারিয়েল সুয়ারেজ জানান যে তিনি ক্রিস্টিয়ান বাস্টোসের ওপর একটি বই লিখছেন। সেই বিষয়ে কথা বলতেই তিনি জেলে গিয়েছিলেন। সেই সময়ই এই ভিডিওটি তোলা হয়েছে।
ক্রিশ্চিয়ান বাস্টোসের সঙ্গে মারিয়েল সুয়ারেজের চু’ম্ব’নের এই ভিডিও সামনে আসতেই এই নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। এই সিসিতব ফুটেজের উপর ভিত্তি করেই তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। এই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে বিচারক মারিয়েল সুয়ারেজ ক্রিশ্চিয়ান বাস্টোসের মুখোমুখি বসে রয়েছেন। ভিডিওতে বিচারকের পিছনের দিক দেখা যাচ্ছে।
👩🏻⚖️La jueza Mariel Suárez negó tener una relación sentimental con "Mai" Bustos y dijo que no existieron besos, a pesar del video que exhibe cierta cercanía entre la magistrada y el detenidohttps://t.co/SDoZn1QPo2 pic.twitter.com/jMj6KRB8XP
— Metadata Noticias (@metadataweb) January 4, 2022
ভিডিওতে বোঝা যাচ্ছে যে তিনি আসামীর দিকে ঝুঁকে বসে রয়েছেন। এই বিষয়ে বিচারক মারিয়েল সুয়ারেজ জানান যে তাদের কথার গোপনীয়তা বজায় রাখার জন্যই তিনি আসামী ক্রিশ্চিয়ান বাস্টোসের এত কাছাকাছি বসেছিলেন। কিন্তু এই ঘটনাকে এখন ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। বিচারকের এই কথা কতটা সত্যি, তা যাচাই করে দেখা হচ্ছে।
নিজের সৎ ছেলে ও এক পুলিশ আধিকারিককে হত্যার অপরাধে যাবজ্জীবনের সাজা হয় ক্রিশ্চিয়ান বাস্টোসের। সে তার সৎ ছেলেকে খুনের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল। তাকে গ্রেফতার করার সময় এক পুলিশকেও হত্যা করে সে।