‘দলে মরচে ধরেছে, শীর্ষ নেতাদের সরিয়ে তরুণদের প্রাধান্য দেওয়া হোক’, বদল চেয়ে আলিমুদ্দিনে চিঠি কান্তির
পশ্চিমবঙ্গে সিপিএম এখন আক্ষরিক অর্থেই শূন্য। এমন বামশূন্য বিধানসভা স্বাধীন ভারতে অন্তত এর আগে দেখা যায়নি। কিন্তু কী ভুল হল দলের? কেন এই বিপদ আগের থেকে আঁচ করতে পারল না দল? দলের নেতৃত্বের কী তবে বদল প্রয়োজন?
এবার নেতৃত্বের বদলের দাবী করলেন বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর মত, সমস্ত কমিটি ভেঙে ফের নতুন করে সব শুরু করা দরকার। যুব নেতা ও তরুণদের প্রাধান্য দেওয়া প্রয়োজন।
এই মর্মে বিমান বসু ও সূর্যকান্ত মিশ্রকে চিঠি দিলেন কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। সূত্রের খবর অনুযায়ী, চিঠিতে তিনি লিখেছেন, “দলে মরচে ধরেছে। অবিলম্বে সমস্ত কমিটি ভেঙে শূন্য থেকে শুরু করা হোক। হতাশ হওয়ার কোনও কারণ নেই। রেড ভলান্টিয়াররা ভালো কাজ করছেন। কেউ কেউ আবেগে ঝান্ডাও হতে নিচ্ছেন। তবে ঝান্ডা ছাড়াই দাঁড়াতে হবে মানুষের পাশে। স্বাধীনভাবে কাজের পরিসর দেওয়া উচিত ছাত্র-যুবদের”।
তাঁর এই চিঠি দেওয়া পর আগামীকাল, মঙ্গলবার কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়কে আলিমুদ্দিনে ডেকে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এবার স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে যে তাহলে কী দলীয় নেতৃত্বের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করছেন রায়দিঘির প্রাক্তন বিধায়ক?
আরও পড়ুন- চাপ বাড়ল রাজ্যে, ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা খতিয়ে দেখতে ফের রাজ্যে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন
এই বিষয়ে এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় জানান, “নিঃসন্দেহে দুঃখজনক ও দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতি। তবে অন্ধকার নেমে এসেছে বলে বিশ্বাস করি না। আমরা মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে পারিনি। আমার মতামত পার্টিকে জানিয়েছি। বিশ্বাস করি পার্টি সঠিক সিদ্ধান্তটাই নেবে। আর মরচে ধরেছিল বলেই তো পার্টি সাংগঠনিক প্লেনাম করেছিল। সেগুলি কার্যকর করা গিয়েছে কিনা তা অনুসন্ধান করতে হবে”।
তবে তাঁর এই চিঠি তো দলের নেতৃত্বের উপরেই প্রশ্ন তুলছে।এইবিষয়ে বর্ষীয়ান সিপিএম নেতার সাফ জবাব, “আমার আনুগত্য মতাদর্শের প্রতি। পার্টি যে কর্মসূচি গ্রহণ করে তা সবাই মেনে চলতে বাধ্য। যা বলার দলের অন্দরেই বলব”।
বলে রাখি, ভোটের ফল ঘোষণা হওয়ার পরই দলের সমালোচনা করেছিলেন কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় ও তন্ময় ভট্টাচার্য। এঁরা দুজনেই ভোটে পরাজিত হয়েছেন। আইএসএফের সঙ্গে জোট বাধা নিয়ে দলের তরফে সরাসরি প্রশ্ন তুলেছিলেন তন্ময়। এরপর দলের তরফে প্রকাশ্যে তাঁকে মুখ খোলা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়।