কলকাতা

কলেজের পোশাকেও কাটমানি গুনছেন কলেজ কর্মী এবং ছাত্র নেতারা?

সাধারণত কোনো সরকারি পলিটেকনিক কলেজেই নির্দিষ্ট ইউনিফর্ম চালু নেই। তবে ব্যতিক্রম বি টি রোডের উপর বিড়লা ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি-তে৷ বিগত কয়েক বছর ধরেই এই সরকারি পলিটেকনিক কলেজটিতে রয়েছে নির্দিষ্ট একটি ইউনির্ফম। আর তা আবার বানানোর প্রথা রয়েছে কলেজ থেকেই ঠিক করে দেওয়া বিটি রোডের নিকট একটি নির্দিষ্ট দোকান থেকে। ২০১৫ পর্যন্ত ছাত্র ছাত্রীদের নির্দেশ ছিল স্বস্তিক নামে একটি দোকান থেকে ইউনির্ফম বানানোর কিন্তু ২০১৬ থেকে সেটি পরিবর্তন করে করা হয় টপ কালেকশন নামে একটি দোকান। অনেক ছাত্রছাত্রীদেরই দাবী যে এর পেছনে খেলা চলছে কাটমানির৷

ছাত্রছাত্রী সূত্রে খবর, নয়া বর্ষে ছাত্রছাত্রীরা ভর্তি হওয়ার সময়ই সেই কলেজের সিনিয়ররা নয়া ছাত্রছাত্রীদের জানিয়ে দিচ্ছে যে তাদের ইউনিফর্ম টপ কালেকশন নামক দোকান থেকে কিনতে তবে। একটি ইউনিফর্ম বানাতে খরচ পড়ছে কমপক্ষে ৩০০০ থেকে ৩৫০০। স্বাভাবিকভাবেই মেধা তালিকা থেকে উঠে আসা দরিদ্র ছাত্রছাত্রীদের নিকট এই বিষয়টি হয়ে উঠছে সমস্যার। এই নিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষকে অনেকবার জানিয়েও কোনো কাজ হয়নি বলে অভিযোগ।

 

সরকারি কোনো পলিটেকনিক কলেজে নির্দিষ্ট ইউনিফর্মের কোনো নিয়ম নেই। শিক্ষা দফতরের তরফ হতেও এমন কোনো ফতোয়া জারি করা হয়নি। স্রেফ কলেজের তরফে একটি অর্ডার পেশ করে ছাত্রছাত্রীদের জানানো হয়েছে ইউনিফর্মের ব্যাপারে। সেই অর্ডারে আবার নেই কারোর সই। এমতাবস্থায় এই বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ অমিতরঞ্জন ঘটককে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান যে, “কলেজে আবার যা খুশি তা পরে আসা যায় নাকী? শিলিগুড়িতে খোঁজ নিয়ে দেখুন, অনেক কলেজেই ইউনিফর্ম আছে।” শুধু তাই নয়, তিনি আরও বলেন যে, “ইউনিফর্ম যে কোনো দোকান থেকেই বানানো যাবে, তাতে সমস্যার কিছু নেই।”

কিন্তু কলেজ ছাত্রছাত্রীদের একাংশের দাবী যে, এর পেছনে চলছে কাটমানির খেলা। ছাত্র নেতারা এবং কলেজ কর্মীরা এই কাটমানির খেলায় যুক্ত। তাই ছাত্র নেতারা রীতিমতো কলেজে ইউনিফর্ম রাখতে উঠে পরে লেগেছেন৷ বেশ গুছিয়েই খেলা খেলছেন তারা। যদিও তাদের বক্তব্য, এটা ছাত্রছাত্রীদের স্বাক্ষর করা একটি ইউনিফর্ম সংক্রান্ত চিঠির ওপর নির্ভর করেই করা হয়েছে। এতে রাজনীতির কোনো ছাঁপ নেই। কিন্তু ঠিক কোন অর্ডারে কলেজ কর্তৃপক্ষ এই ইউনিফর্ম ব্যবস্থা বহাল রেখেছেন তা-ই এখনও দেখতে পারেননি কলেজ অধ্যক্ষ এবং কর্মীরা।

Related Articles

Back to top button