গতকাল পার্ক স্ট্রিট মেট্রো স্টেশনে সন্ধ্যা ৬ টা ৪২ মিনিটের মেট্রো ধরতে গিয়ে মেট্রোর দরজায় হাত আটকে যায় এক যাত্রীর। শরীরে রয়ে যায় ট্রেনের বাইরেই। এমতাবস্থাতেই চলতে শুরু করে মেট্রো। সুরঙ্গে দেওয়ালে ধাক্কা খেলে ঘষটাতে ঘষটাতে মেট্রোর সাথেই চলতে থাকে সেই যাত্রীর দেহ। শেষ অবধি লাইনে পরে মৃত্যু হয় তাঁর। স্টেশন থেকে প্রায় ৬০ মিটার দূরে পাওয়া যায় সেই যাত্রীর দেহ।
এহেন ভয়াল দুর্ঘটনায় কাল রাতেই গাফিলতির অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয়েছে সেই মেট্রোর চালক এবং গার্ডকে। তদন্তের জন্য গঠন করা হয়েছে এক কমিটি। তাঁরা ইতিমধ্যেই শুরু করেছেন তাদের উচ্চপর্যায়ের তদন্ত। আর তারই প্রথম পর্যায়ে আজ রেকর্ড করা হলো সেই মেট্রোর গার্ড এবং চালকের বয়ান৷ তদন্তকারী কমিটির মতে এই বয়ান দুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
অপরদিকে গতকালের দুর্ঘটনায় কেনো মেট্রোর স্বয়ংক্রিয় দরজার সেন্সর কাজ করলোনা?কেনো দরজা পুরোপুরি বন্ধ না হতেই ছুটে চললো মেট্রো? তা নিয়ে উঠছে বিস্তর প্রশ্ন৷ প্রশ্ন থাকছে এই নতুন এসি মেট্রো রেকটির ট্রায়াল নিয়েও। ট্রায়ালে কেনো এই ত্রুটি ধরা পরেনি তা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে প্রশ্নের৷ এমতাবস্থায় আজ চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রেটেড কোচ ফ্যাক্টরি, যেই ফ্যাক্টরিতে এই রেকটি তৈরী করা হয়েছিল সেখান থেকে ইঞ্জিনিয়াররা আসছেন রেকটি পরীক্ষার জন্য। কেনো মেট্রোর দরজার সেন্সর কাজ করলোনা, মূলত তা নিয়েই হবে নিরীক্ষণ।
অপরদিকে মৃতের পরিবারের লোক গাফিলতির অভিযোগ এনে মেট্রোর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে শেক্সপিয়ার সরণী থানায় এফআইআর দায়ের করেছেন, করেছেন মামলা রুজুও৷ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে মৃতের পরিবারকে পাশে থাকার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।