দুরারোগ্য ক্যান্সার সারিয়ে চিকিৎসা বিজ্ঞানে নয়া নজির কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের।
তবে কি ক্যান্সারের প্রতিশেধক খুঁজে পেতে সফল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকেরা!! বলা যায়, হয়তো অনেকটা তাই। আর তা যদি হয় তবে ক্যান্সারের ত্রাস হয়ে থাকার দিন শেষ। এবারে মিলাকেল ঘটিয়ে দুরারোগ্য বিরল ক্যান্সার সারিয়ে তুললেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। ফুসফুসের ক্যান্সের অন্তিম পর্যায়ে পৌঁছেও ফের কেমো ছাড়াই শুধু ওষুধে প্রায় সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠলো রোগী৷
বেশ কিছু মাস আগে ফুসফুসের এক বিরল ক্যান্সার নিয়ে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন হাওড়ার বাগনানের বাসিন্দা সোমা দোলুই। ধরা পরে যে তার ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়েছে শরীরের লিভার সহ সর্বত্রই। এরপরই হঠাৎ সোমার ওপর ক্রিজোটিনিব গ্রুপের ওষুধ প্রয়োগ শুরু করেন চিকিৎসকেরা। এবং সবাইকে এমনকি চিকিৎসকদেরও অবাক করে সেই ওষুধেই প্রায় সেরে ওঠেন সোমা। টানা তিন মাস ওষুধ চালানোর পরই ৫০ শতাংশ সেরে উঠেছিলেন তিনি এবং সেই ওষুধ ৬ মাস চালানোর পরই সোমার লিভার ক্যান্সার পুরোপুরি সেরে যায়। দেহের অন্যত্রও ক্যান্সার প্রায় কমে গিয়েছে। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন যে, আপাতত তারা চেষ্টা করছেন যে কীভাবে ক্যান্সাকে আর নতুন ভাবে সোমা দেবীর শরীরে ছড়িয়ে পরতে না দেওয়া যায়।
তবে এই চিকিৎসা বিষয়টি বেশ ব্যয়বহুল হওয়ায় এখনও অনেকের পক্ষেই তা অধরা। তবে ক্যান্সারের ওষুধ দিয়ে এই সাফল্যে স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বসিত আন্তর্জাতিক মেডিক্যাল জার্নাল। ইতিমধ্যেই এই ক্যান্সার চিকিৎসার ‘কেস স্টাডি’ কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ থেকে চেয়েছেন আন্তর্জাতিক মেডিক্যাল জার্নাল।