করোনা সংক্রামিত হয়ে প্রাণ হারালেন কলকাতা পুলিশের সহকারি কমিশনার উদয়শঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
করোনা সংক্রামিত হয়ে এবার প্রাণ হারালেন পুলিশ প্রশাসনের এক উচ্চপদস্থ কর্তা। শুক্রবার ভোরে ই-এম বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে কলকাতা পুলিশের সহকারি কমিশনার উদয়শঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু হয়। তিনি পুলিশের সেন্ট্রাল ডিভিশনে অ্যাসিস্টেন্ট কমিশনার পদে ছিলেন।
বেশ কয়েকদিন ধরেই তিনি অসুস্থ ছিলেন। এমনকি তাঁর উপসর্গও দেখা দিয়েছিল। তাই তিনি কোভিড পরীক্ষা করান এবং তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এরপর তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সূত্রের খবর, তাঁকে প্রথমে মধ্য কলকাতার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল কিন্তু সেখানে তাঁর শ্বাসকষ্ট শুরু হয় এবং অক্সিজেনের মাত্রাও কমে যেতে থাকে। এরপরই করোনা পজিটিভ হয়ে বাইপাসের ধারে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। তাঁর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ কলকাতা পুলিশ বাহিনী। পাশাপাশি লালবাজারের পুলিশ কর্মীদের মধ্যেো এই ঘটনার জেরে ছড়িয়েছে আতঙ্ক।
বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কলকাতা পুলিশের উপ-নগরপাল বছর পঞ্চান্নর উদয়শঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থা দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছিল। এমনকি গত চারদিন ধরে তিনি ভেন্টিলেশনেই ছিলেন। এরপর চিকিত্সকরা আপ্রাণ চেষ্টা করেন তাঁকে বাঁচানোর, কিন্তু চিকিত্সকদের সমস্ত চেষ্টা ব্যর্থ করে শুক্রবার ভোরে করোনার কাছে নতি স্বীকার করলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, এই নিয়ে ১৮০০ পুলিশ কর্মী করোনা যুদ্ধে প্রাণ হারালেন। এর আগে ইন্সপেক্টর, সাব-ইন্সপেক্টর পদের অফিসাররা করোনা লড়াইয়ে হার মেনেছেন। এখনো অবধি কলকাতা পুলিশের ৯ জন কর্মী প্রাণ হারিয়েছেন। সুরক্ষার স্বার্থে লালবাজারের ভিতরে একটি পৃথক আইসোলেশন সেলও তৈরি করা হয়েছে কিন্তু তাতেও সংক্রমণকে প্রতিহত করা যাচ্ছে না।
উদয়শঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের সহকর্মীরা তাঁর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করে জানিয়েছেন, ‘উদয়শংকর বন্দ্যোপাধ্যায় একদম সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে করোনার সাথে লড়াই করেছেন। এরপর তিনি কোভিডে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। কিন্তু তাঁকে আর বাঁচানো গেল না। আজ প্রাণ হারালেন তিনি। প্রয়াত সহকর্মীর পরিবারের পাশে আমরা আছি এবং থাকব।’ তবে এইভাবে পুলিশকর্মীদের মধ্যে করোনা ছড়িয়ে পড়ায় চিন্তায় পড়েছে প্রশাসন। পাশাপাশি এইভাবে করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় আতঙ্কে পড়েছেন অনেক পুলিশকর্মীও।