বাংলার মাটিতে বাঙালি শিক্ষকদের সাথেই বৈষম্য করছে নারায়ণা স্কুল, প্রতিবাদে সরব বাংলা পক্ষ
বাংলার বুকে দাঁড়িয়ে বাঙালিদের সাথে অন্যায় করা যেন এখন বাঙালি বিদ্বেষী সংস্থাগুলোর কাছে আমবাত হয়ে গেছে। জাতীয় স্তরের কোনো পরীক্ষা হোক কিংবা চাকরির ইন্টারভিউ বারবার বাংলা ভাষা এবং বাঙালিকে হেনস্থা হতে হয়েছে। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে এই একই জিনিস বাঙালির সাথে ঘটেই চলেছে বারংবার। কিন্তু এবার বাঙালির গর্জে ওঠার সময় এসেছে এই জাতিবৈষম্যের বিরুদ্ধে। নারায়ণা স্কুলের বাঙালি শিক্ষকদের এই অসহায় অবস্থায় তাদের পাশে এসে দাঁড়াল বাংলা পক্ষ।
বাংলার মাটিতে যখনই বাঙালির প্রতি কোনো অন্যায় হয়েছে কিংবা বাংলা ভাষাকে অপমান করা হয়েছে তখনই তার প্রতিবাদে সরব হয়েছে বাংলা পক্ষের সদস্যরা। এবার নারায়ণা স্কুলের জাতিগত বৈষম্যে তাদের পাশে দাঁড়াল বাংলা পক্ষ। নারায়ণা স্কুলের বাঙালি শিক্ষকদের দাবি স্কুলের মজ্জায় মজ্জায় ঢুকে রয়েছে জাতিগত বিদ্বেষ। শুধু বাঙালি বলে তাদের মাইনে কম দিয়ে অতিরিক্ত খাটানো হয়। অন্যদিকে অবাঙলীদের ক্ষেত্রে মাইনে দ্বিগুণ বা তিনগুণ। গতকাল বাংলা পক্ষর হাওড়া শাখা মাঠে নেমে এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানায় এবং কদমতলা, দাসনগর, টিকিয়াপাড়া ও নারায়ণা স্কুলের সামনে বাঙালির ৬ দফা দাবিতে পোস্টারিং কর্মসূচি চলে। এমনকি এই ঘটনার কভার করেছে বাংলার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম।
বাংলা পক্ষ নারায়ণা স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে যে ৬ টি দাবি রেখেছেন সেগুলি হল,
◆বাংলার বুকে একজন শিক্ষক বাঙালি বলে তাকে সরিয়ে অযোগ্য অবাঙালি শিক্ষকদের নিয়োগ করা যাবে না।
◆পড়ুয়াদের ভর্তির কাজ শিক্ষকদের দিয়ে করানো যাবে না।
◆ছাত্রছাত্রীদের ভর্তি করানোর জন্য আলাদা কর্মচারী নিয়োগ করতে হবে।
◆একই শিক্ষাগত যোগ্যতাকে সমবেতন কাঠামোয় আনতে হবে।
◆সমস্ত শিক্ষকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রকাশ করতে হবে এবং অভিভাবকদের জানাতে হবে।
◆অধ্যক্ষ পদে নূন্যতম যোগ্যতার নিচে প্রয়োগ করা যাবে না।
নারায়ণা স্কুলের এক শিক্ষক অভিযোগ করেছেন, এপ্রিল মাসে অনলাইন ক্লাস করানোর পর আচমকাই মে মাসে তাকে নো ওয়ার্ক নো পে করে দেওয়া হয়। এমনকি এপ্রিলের টাকা পর্যন্ত তাকে দেওয়া হয় নি। এরপর শিক্ষকরা তাই এক জোটে স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নামেন এবং তাদের সাথ দেয় হাওড়া বাংলা পক্ষ।