Covid19 Crisis: কলকাতার দুটি লোকসভা কেন্দ্রে ১০ হাজার জনকে খাদ্যসামগ্রী প্রদান বিজেপি-র
ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে ধীরে ধীরে। দেশে প্রায় সাড়ে তিন হাজার জনের শরীরে আঘাত এনেছে এই মারণ ভাইরাস। কলকাতাতেও করোনা আস্তে আস্তে ছড়িয়ে পড়ছে, এই অবস্থায় দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। গৃহবন্দি সকলেই। খাবার জোগান করতে হিমশিম খাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। হয় মুদির দোকান বন্ধ নয় প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র শেষ।
এই অবস্থায় মানুষকে সাহায্য করতে পথে নামল বিজেপি। বিজেপির উদ্যোগে বেলেঘাটা থেকে ম্যাটাডোরে করে অত্যাবশ্যকীয় খাদ্যসামগ্রী নিয়ে কলকাতার ২টি লোকসভা কেন্দ্রে প্রায় দশ হাজার পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হবে বলে জানানো হয়। খাদ্যসামগ্রীর মধ্যে আছে, চাল, ডাল, আলু, পিঁয়াজ, তেল, মশলা, সোয়াবিন। দেওয়া হচ্ছে মাস্কও। সামাজিক দূরত্বের কথা মাথায় রেখে বাড়ি গিয়ে দেওয়া হচ্ছে এই খাদ্যসামগ্রী।
শুধু কলকাতা নয়, বিজেপি এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বিভিন্ন জেলাগুলোতেও। জেলায় জেলায় একইভাবে খাবার পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। জেলাগুলোতেও একই খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। গোটা দেশে এক লক্ষ পরিবারের মধ্যে এই খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেবে বিজেপি। পশ্চিমবঙ্গের এই পুরো কর্মকান্ডের দায়িত্বে আছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও শীর্ষ বিজেপি নেতা মুকুল রায়।
খাদ্য সরবরাহে দ্বায়িত্বে থাকা রাজ্য বিজেপি নেতা রাজু সরকার আমাদের প্রতিনিধিকে জানান, আগামী দিনে প্রায় ২৫হাজার পরিবারের খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিতে সুব্রত চট্টোপাধ্যায় ও অমিতাভ চক্রবর্তী মহাশয়ের নেতৃত্বে বিজেপি কর্মীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করছে। খাদ্য দ্রব্য জোগাড় করার জন্য অভিজিৎ দাস (ববি) এর পরিশ্রম অকল্পনীয়। রাজু সরকার আরও জানান যে, প্রতিদিন বর্তমানে ৩০০০ পরিবারের খাবার পৌছে দেওয়ার কাজ চলছে বিজেপি-র তরফে।
দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, গত এক সপ্তাহ ধরে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে খাদ্যদ্রব্য সংগ্রহ করে প্যাকেটবন্দি করে লোকের কাছে পৌঁছানো হচ্ছে। সবকিছু সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই করা হচ্ছে। মুকুল রায় জানিয়েছেন, মোমবাতি জ্বালানোর বিষয়টি অ্যাস্ট্রোলজি না অ্যাস্ট্রোনমি তা তিনি ব্যাখ্যা করবেন না, কিন্তু মোদীজীর কথা শুনে আমাদের সকলেরই ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করা উচিত।