হোম আইসোলেশনের নিয়ম অমান্য করলেই শোকজের চিঠি পুরসভার, শহরে কমল কনটেনমেন্ট জোন
করোনা সংক্রমণের নিয়ম মেনে হোম আইসোলেশনে না থাকলে এবার রোগীর বাড়িতে শোকজ চিঠি পাঠাবে কলকাতা পুরসভা। এমনকি এরপর হোম আইসোলেশনে থাকার বৈধতাও বাতিল করবে প্রশাসন। সোমবার এমনটাই সিদ্ধান্ত নিল পুরসভার কোভিড মোকাবিলা কমিটি। পুরসভার তরফে এও বলা হয়েছে শহরে করোনার এত প্রাদুর্ভাবের মূল কারণ হল হোম আইসোলেশনে থাকা রোগীদের দায়সারা মনোভাব এবং নিয়মের উলঙ্ঘন।
করোনা সংক্রামিতদের যেখানে বার বার সচেতন করা হয়েছে বাড়িতে থাকুন, বাইরে যাবেন না, এতে সংক্রমন আরও ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেখানে রোগীর পরিবার কোনো নিয়ম না মেনে দিব্যি বাজার-দোকান যাচ্ছে। আর যার ফলে শহরে করোনার প্রাদুর্ভাব আরও বাড়ছে।
অন্যদিকে শহরে এক ধাক্কায় কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা কিছুটা কমায় একটু হলেও স্বস্তি পেয়েছে কলকাতা পুরসভা। দক্ষিণ কলকাতার ১০১ নম্বর ওয়ার্ডে ১৩টি কনটেনমেন্ট জোন কমে ৫টি তে এসে ঠেকেছে। এছাড়া ৬৯ নম্বর ওয়ার্ডে বালিগঞ্জের ২৯বি হাজরা রোড ও ৪ এ রেনি পার্কের দু’টি নামী বহুতল আবাসন এবং ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডে বর্ধমান রোডের একটি আবাসনকে কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করেছে নবান্ন। অন্যদিকে উত্তর কলকাতার তিন নম্বর বরোতে নতুন করে সাতটি কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করেছেন রাজ্য সরকার। এছাড়া উত্তরের ৩১, ৩৩, ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে এখনও করোনার দাপটে আতঙ্কিত রয়েছে মানুষ।
এদিন কোভিড নিয়ে পুরসভার বৈঠক শেষে পুরসভার স্বাস্থ্যবিষয়ক প্রশাসক অতীন ঘোষ বলেন, “বাড়িতে হোম আইসোলেশনে থাকা ৫০ শতাংশ মানুষই আইসিএমআর-এর উল্লিখিত পয়েন্টগুলি মেনে চলছেন না। আর সঠিক ঠিকানা, চিকিৎসকের নাম ও ‘কেয়ার গিভার’ ফর্ম না থাকার কারণে তাঁদের শনাক্ত করতে বেশ মেহনত করতে হচ্ছে। তাই এবার থেকে যারা হোম আইসোলেশনে থেকে নিয়ম মানবেন না তাঁদের বিরুদ্ধে পুরসভা শোকজ নোটিশ পাঠিয়ে তাদের হোম আইসোলেশনের বৈধতা বাতিল করবে। এরপর তাদের শারীরিক পরিস্হিতি পর্যবেক্ষণ করে তাঁদের সেফ হোম বা কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা হবে।”
এছাড়া যারা হোম আইসোলশেনে থাকবেন তাঁদের বাড়িতে এবার থেকে ছাপানো গাইডলাইন পাঠাবে পুরসভা। এছাড়া কড়া নজরদারী রাখতে প্রতিটি রোগীর বাড়িতে ফোনে খবর নিতে ওয়ার্ড ভিত্তিক ‘ট্রেকিং সেল’ও তৈরি করা হবে।