Kolkata
পুজোর মধ্যে সুখবর! রাজ্যের জন্য একবারে দেড় কোটি কোভিড ভ্যাকসিন পাঠাচ্ছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক
বিজ্ঞাপন
এখন পশ্চিমবঙ্গ-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় চলছে টিকাকরণ। একসময় ভ্যাকসিনের জোগান কম থাকায়, অনেক জেলাতেই বন্ধ হতে বসেছিল টিকাকরণ। কিন্তু বিভিন্ন রাজ্যের লাগাতার চাপ দেওয়াতে শেষমেষ অক্টোবরে দেড় কোটি ডোজ কোভিড ভ্যাকসিন রাজ্যে পাঠানো হবে।
গত বছর থেকে করোনার বাড়াবাড়ি সারাদেশে। এখন তা নিয়ন্ত্রণের সময় এসে গিয়েছে। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পশ্চিমবঙ্গ-সহ আরও নানা রাজ্যে করোনার দুটি ডোজ সম্পন্ন করা জরুরি। তাই এত মাত্রায় ভ্যাকসিন পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। সূত্রের খবর, সংখ্যাটা আরও খানিকটা বাড়লেও, অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। এমনকি শুধু কোভিড নয় হাম, ইনফ্লুয়েঞ্জা, হেপাটাইটিস-সহ আরও পাঁচটি রোগ প্রতিরোধ করতে শিশুদের দেওয়া হয় দুটি বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়। ভ্যাকসিনের নাম পেন্টাভেলেন্ট।
এই ভ্যাকসিনের ৬লক্ষ ডোজ সপ্তমীর সকালে কলকাতায় এসে পৌঁছেছে। বিকেল থেকেই এই ভ্যাকসিন হিমায়িত গাড়িতে করে পৌঁছানো শুরু হয়েছে বিভিন্ন জেলায়। স্বাস্থ্য আধিকারিকের কথায়, ২০১৫ সালের পর প্রথমবার একসঙ্গে এত বেশি শিশুদের জন্য ভ্যাকসিন পাঠানো হলো। ষষ্ঠীর সন্ধ্যাতে ৮ লক্ষ ডোজ কোভিশিল্ড, বাগবাজার সেন্ট্রাল স্টোরে এসেছে। সেই ভ্যাকসিন কলকাতা-সহ পশ্চিমাঞ্চলের নানা জেলায় পাঠানো হবে। এর মধ্যে ফের আবার আগামী দু-তিন দিনের মধ্যে আরও প্রায় ২০ লক্ষ ডোজ ভ্যাকসিন পশ্চিমবঙ্গে পাঠানো হবে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক থেকে যে বার্তা পাঠানো হয়েছে তার নির্যাস হলো, যত দ্রুত সম্ভব রাজ্যের প্রাপ্ত বয়স্ক নাগরিকদের করোনা ভাইরাসের এর আওতায় আনতে হবে।
বিশেষ করে পুজো থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত। কারণ এই সময় হরেকরকম উৎসব আর পার্বণে মেতে থাকেন নাগরিকরা। শীতের সময় আবার কোভিড সংক্রমণ বাড়ার একটা প্রবণতা থাকে। তাই জন্যই এই পদক্ষেপ। তথ্য অনুযায়ী ১০ কোটি নাগরিক থাকলেও, ভ্যাকসিন পাওয়ার যোগ্য বিবেচিত প্রায় ৭ কোটি ২৫ লক্ষ। এদের মধ্যে প্রথম ডোজ নেওয়া হয়ে গিয়েছে ৩ লক্ষ নাগরিকের। কিন্তু দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া হয়নি। এই নাগরিকদের স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে যোগাযোগ করা হলেও, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নম্বর বদলে গেছে। অথবা ঠিকানা বদলে গিয়েছে। ফলে এদের নিয়ে এখন স্বাস্থ্যকর্তাদের রয়েছে বেশ চিন্তা।
অন্যদিকে ১ কোটি ৮০ লক্ষ ৯০ হাজার লোক দুটি ডোজই পেয়েছে। আর প্রথম ডোজ পেয়েছে ৪ কোটি ৬৯ লক্ষ। জানা যাচ্ছে, প্রায় ৬ কোটি নাগরিক করোনা ভ্যাকসিনের আওতায় এসেছেন।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন