বৈশাখী – মমতা সাক্ষাৎকারকে গুরুত্ব নয় : দিলীপ ঘোষ
সামনেই পুরভোট। আর বৃহস্পতিবার নবান্নে গেলেন শোভন-বান্ধবী তথা বিজেপির সদস্য বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি প্রায় একঘন্টা মিটিং করলেন মুখ্যমন্ত্রীর সাথে। তবে কি এই বৈঠকের মাধ্যমে কলকাতার প্রাক্তন মেয়র আর তাঁর বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় নতুন কোনো সমীকরণের ইঙ্গিত দিচ্ছেন? যদিও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবান্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়াকে গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ওদের সাথে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুরোনো সম্পর্ক রয়েছে, তাই তিনি যাচ্ছেন। এতে বিজেপির অস্বস্তিতে পড়ার কোনও কারণ নেই। আজ সকালে মধ্য হাওড়ার ২৪ এবং ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে চা চক্রে অংশগ্রহণ করেন বিজেপি সভাপতি।
প্রথমে ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের বিজয়ানন্দ পার্কে প্রাতঃভ্রমণ করেন তিনি। মাঠে আসা অন্যান্য প্রাতঃভ্রমণকারীদের সঙ্গে বেশ কিছুটা সময় কাটান। তাদের সমস্যা নিয়ে কথা বলেন। এরপর চা চক্র অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসেন ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে। যদিও সেই ওয়ার্ডের সমস্ত চায়ের দোকান বন্ধ ছিল। এ নিয়ে বিজেপির সভাপতির অভিযোগ, বিজেপিকে ভয় পাচ্ছে তৃণমূল। সেই জন্যই আমি আসছি জেনে এলাকার সমস্ত চায়ের দোকান আগে থেকে বন্ধ করে রেখে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ তৃণমূল ভয় পাচ্ছে সাধারণ মানুষকে। তাই জন্য এলাকাবাসীর কথা চিন্তা না করে সমস্ত চায়ের দোকান বন্ধ রাখা হয়েছে।
যদিও বিজেপি রাজ্য সভাপতি অভিযোগে গুরুত্ব দিতে নারাজ ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর তথা প্রাক্তন মেয়র পারিষদ শ্যামল মিত্র। তিনি বলেন, তৃণমূল এই কাজের সাথে যুক্ত নয়। এই ধরনের নিম্নমানের রাজনীতি তৃণমূল করে না। এটা বিজেপির বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের প্রতিবাদ। আর দোকান বন্ধ রাখা কিংবা না রাখাটা সম্পূর্ণ ব্যবসাদারদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। এ বিষয়ে তৃণমূল মাথা ঘামায় না।
পাশাপাশি, বৈশাখীদেবী স্পষ্টতই বুঝিয়ে দিয়েছেন, বিজেপি তার কাছে ‘ক্লোজ়ড চ্যাপ্টার’ এবং আর তৃণমূলে ফেরা প্রসঙ্গে তাঁর উক্তি, ‘রাজনীতিতে অসম্ভব বলে কিছু নেই’।