খাস কলকাতায় ম’দ্য’প অবস্থায় Zomato ডেলিভারি বয়কে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, খাবার নিয়ে টাকা না দেওয়ার অভিযোগ মহিলার বিরুদ্ধে
খাবার নিয়ে টাকা না দেওয়ার অভিযোগ উঠল মহিলার বিরুদ্ধে। এমনকি, মহিলার বিরুদ্ধে মদ্যপ অবস্থায় জোম্যাটো ডেলিভারি বয়কে অকথ্য ভাষায় গালাগাল দেওয়ার অভিযোগও উঠল। ইতিমধ্যেই বেশ ভাইরাল হয়েছে এই ভিডিও।
ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতার বেলেঘাটায়। যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে সেই অনুযায়ী, এক মহিলা এক রেস্তোরাঁ থেকে খাবার অর্ডার করেছিলেন রাত ৯টা নাগাদ। রাত ১১টা নাগাদ এসে পৌঁছয় সেই খাবার। কিন্তু টাকা না দিয়েই সেই খাবার নিয়ে নেন
মদ্যপ মহিলা। এই নিয়ে শুরু হয় বচসা।
এরপর অন্য এক জোম্যাটো ডেলিভারি বয় এসে এই বিষয়ে মহিলাকে প্রশ্ন করলে তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন ওই মহিলা। ডেলিভারি বয়ের দাবী, ওই মহিলা ম’দ্য’প অবস্থায় ছিলেন। একথা বলতেই রীতিমতো রাগে ফুঁসে ওঠেন ওই মহিলা ও ডেলিভারি বয়কে আরও নানান খারাপ ভাষা বলতে শুরু করেন।
এই গোটা ঘটনাটির ভিডিও করেন অন্য এক ডেলিভারি বয়। জানা যায়, ওই মহিলা খাবার অর্ডার দিয়ে তা বাতিল করে দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই মেসেজ এসে পৌঁছয় নি ডেলিভারি বয়ের কাছে। আর খাবারের অর্ডার বাতিল করা সত্ত্বেও সেই খাবার মহিলাটি নেন কিন্তু টাকা দেন না।
তাঁকে টাকা দেওয়ার কথা বলা হলে তিনি একটি মেসেজ দেখান এবং বলেন যে তিনি অনলাইনে খাবারের টাকা পেমেন্ট করেছেন। এদিকে, এক ডেলিভারি বয় দেখেন ওই মহিলা পেমেন্ট করেছেন দুপুর ২টো নাগাদ আর এই মহিলা খাবার অর্ডার করেছেন রাত ৯টার সময়। এমন হওয়ার কথা নয়। ডেলিভারি বয় মহিলা ফোন দেখেও বলেন যে তিনি রাত ৯টায় খাবার অর্ডার করে দুপুর ২টোর সময় পেমেন্ট কীভাবে করতে পারেন। কিন্তু কোনও কথাই কানে নেন না ওই মহিলা।
এরপরই তিনি ওই রেস্তোরাঁতে ফোন করেন যেখান থেকে তিনি খাবার অর্ডার দিয়েছেন এবং বলতে থাকেন যে ডেলিভারি বয় নাকি তাঁকে হেনস্থা করেছেন, তাঁর গায়ে হাত দিয়েছেন। এমনকি, তিনি এও বলেন যে তাঁকে ডেলিভারি বয়টি টানতে টানতে তাঁর বাড়ির ভেতর নিয়ে গিয়েছেন।
কিন্তু এমন কোনও ঘটনাই আসলে ঘটেনি। কারণ এই সম্পূর্ণ ঘটনার ভিডিও রয়েছে অন্য এক ডেলিভারি বয়ের কাছে। এরপর ওই মহিলাকেও দেখা যায় এই ঘটনার ভিডিও করতে।
এমন ঘটনা হয়ত আকছার ঘটতেই থাকে নানান জায়গায়। ডেলিভারি বয়ের বিরুদ্ধে কোনও মহিলার অভিযোগ নতুন ঘটনা নয়। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় অভিযোগ করা ব্যাক্তি ডেলিভারি বয়ের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছেন। কিন্তু উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে সেই ডেলিভারি বয় নিজের চাকরি খোয়ান। কিন্তু এক্ষেত্রে সমস্ত প্রমাণ রয়েছে ডেলিভারি বয়ের কাছে যা তাঁকে নির্দোষ প্রমাণ করতে পারে। এই ঘটনার পর ওই মহিলা এই বিষয়ে পুলিশে কোনও অভিযোগ করেছেন কী না, তা অবশ্য এখনও জানা যায়নি।