Kolkata

অতিরিক্ত ফি মকুবের দাবিতে বিক্ষোভরত অভিভাবকরা, মঙ্গলবার ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের আয়োজন জিডি বিড়লায়

বিজ্ঞাপন

লকডাউন এর জেরে দেশে সবার প্রথমে বন্ধ করা হয়েছিল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। এই রাজ্যে গত ১৬ই মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে সমস্ত স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু এরই মধ্যে বেসরকারি স্কুলগুলোতে অতিরিক্ত কিছু ফিজ চাপানো নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিরোধ বেঁধেছে অভিভাবকদের। প্রায় দুই সপ্তাহ ধরেই বিভিন্ন স্কুলের সামনে এই সংক্রান্ত বিষয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন পড়ুয়াদের অভিভাবকরা।

বিজ্ঞাপন

তাঁরা জানাচ্ছেন লকডাউনে বেসরকারি স্কুল গুলো টিউশন ফিজ বাড়ায়নি ঠিকই কিন্তু এর সঙ্গে অতিরিক্ত বিভিন্ন ফিজ যোগ করা হয়েছে যা একেবারেই অযৌক্তিক। এই তিন মাস পড়ুয়ারা স্কুলেই যাইনি, সেখানে অতিরিক্ত ফিজ স্কুল কী করে চায় এই প্রশ্ন তুলছেন অভিভাবকরা যেখানে করোনা পরিস্থিতিতে সকলের পারিবারিক আয় কমবেশি ধাক্কা খেয়েছে। এমনকি অনেক স্কুল অভিভাবকদের প্রচ্ছন্ন হুমকিও দিয়েছে যে স্কুলের বেঁধে দেওয়া সময় সীমার মধ্যে যদি টাকা জমা না করা হয় তাহলে তাদের বাচ্চাদের পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণ নাও করা হতে পারে। এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন অভিভাবকরা। সেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ আজকে ফের দেখা গেল জিডি বিড়লা স্কুলের সামনে।

বিজ্ঞাপন

সকাল থেকেই স্কুলের বাইরে জড়ো হন অভিভাবকরা। তারা এই সংক্রান্ত বিষয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলার দাবি জানালেও স্কুলের গেট খোলা হয়নি। স্কুল কর্তৃপক্ষ থেকে কোনরকম সাড়াও দেওয়া হয়নি। এরপর অভিভাবকরা সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনেই স্কুলের বাইরেই চেয়ার নিয়ে বসে পড়েন। প্ল্যাকার্ড দেখিয়ে চলতে থাকে বিক্ষোভ। স্কুলের সামনে ব্যস্ত রাস্তা আটকে অবস্থান করায় এলাকায় তৈরি হয় যানজট। ঘটনার খবর পেয়ে হস্তক্ষেপ করেন স্থানীয় কাউন্সিলর তপন দাশগুপ্ত। তিনি অবশ্য জানান, যে অভিভাবকদের কোন দাবি সম্বন্ধে তার কোনও ধারণা ছিল না। এরপরে তিনি স্কুল কর্তৃপক্ষকে ফোন করেন এবং ঠিক হয় আগামী মঙ্গলবার একটি ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হবে স্কুলে। সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন স্কুল কর্তৃপক্ষ, তপন দাশগুপ্ত নিজে এবং স্কুলের অভিভাবক ফোরামের প্রতিনিধিরা। স্কুল কী সিদ্ধান্ত নেবে তা মঙ্গলবারই জানা যাবে। কিন্তু এই কঠিন পরিস্থিতিতেও স্কুলের এই অমানবিক আচরণ মানতে পারছেন না কেউই।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Back to top button

Discover more from Khabor24x7

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading