কলকাতায় কঙ্কালকাণ্ড! তান্ত্রিকের ফ্ল্যাটে হানা দিয়ে উদ্ধার মানুষের মাথার খুলি, পশুর চামড়া-বাঘের নখ, আটক ৩

ফ্ল্যাটের মধ্যে রাখা, হরিণের চামড়া, দাঁত, বাঘের নখ, এমনকি মানুষের মাথার খুলিও। খবর পেয়ে নির্দিষ্ট জায়গায় গিয়ে তল্লাশি চালিয়ে কার্যত চোখ ছানাবড়া পুলিশ ও বনদফতর কর্তাদের। তান্ত্রিকের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হলেও পলাতক তান্ত্রিক নিজে। এই ঘটনায় আটক করা হয়েছে ৩ জনকে। তন্ত্র চর্চার জন্যই এই সমস্ত সামগ্রী ফ্ল্যাটে মজুত করা হত কী না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, দমদম নাগেরবাজারের কাছে প্রাইভেট রোডের আমবাগান এলাকার বাসিন্দা সৌরভ চৌধুরী। তিনি তন্ত্র চর্চা, জ্যোতিষবিদ্যা করতেন বলে খবর। তার ফ্ল্যাটে বেআইনি সামগ্রী মজুত রয়েছে বলে খবর পান পুলিশ ও বনদফতরের কর্মীরা।
সেই ফ্ল্যাটে গিয়ে তল্লাশি চালাতেই উদ্ধার হয় একাধিক সামগ্রী। ফ্ল্যাট থেকে মেলে হরিণের চামড়া, শিং, বাঘের নখ ও দাঁত, একাধিক পাখির দেহাংশ এমনকি মানুষের মাথার খুলিও। বনদফতর সেসব বাজেয়াপ্ত করেনি। অনুমান, তন্ত্র সাধনার কাজের জন্যই এসব মজুত করে রাখা। আসল অভিযুক্ত সৌরভ চৌধুরী পলাতক।
সৌরভের হদিশ না পাওয়া যায়নি ফ্ল্যাটে। তাঁর বাবা রাখাল চৌধুরি, বন্ধু অরিজিৎ গুপ্ত ও পাশের একটি ফ্ল্যাট থেকে শিষ্য দুলাল অধিকারীকে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, এলাকার দুলাল কেবল অপারেটর হিসেবে পরিচিত। তাঁর বাড়ি থেকেও পশু-পাখির দেহাংশ উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
পুলিশ ও বনদফতর সূত্রে দাবী, পারিবারিক অশান্তির জেরেই এইসব বেআইনি সামগ্রী মজুতের কথা জানিয়েছিলেন সৌরভের স্ত্রী। তারপরই এই অভিযান চালায় পুলিশ ও বনদফতরের কর্তারা। জানা গিয়েছে, তল্লাশি শুরু হতেই আত্মহত্য়ার চেষ্টা করেন সৌরভের স্ত্রী। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আপাতত।