মেট্রোর অনুকরণে দুর্গাপুজোয় প্রতিমাদর্শনের ক্ষেত্রেও ই–পাসের কথা ভাবছে কলকাতার বড় বড় পুজো কমিটির একাংশ।
২০২০ দৃশ্যতই অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক আলাদা। করোনা (covid-19) আবহে বদলে গেছে মানুষের বেঁচে থাকার সংজ্ঞা। নিউ নর্মালে (new normal) মাস্ক-স্যানিটাইজারই (mask-sanitizer) এখন সবথেকে আবশ্যিক জিনিস। একইসঙ্গে বাদল আসছে মানুষের পারিপার্শ্বিক আনুষঙ্গিক সমস্ত বিষয়েই।
সম্প্রতি করোনা পরিস্থিতিতে মেট্রো (metro) চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর টিকিটের জন্য লম্বা লাইন, ভিড় ও সংক্রমণের সম্ভাবনা এড়াতে ই–পাস এনেছে কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষ(Kolkata metro authority)। যথারীতি সফল হয়েছে মেট্রোর এই পদক্ষেপ। আর এবার মেট্রো রেল পরিষেবায় এই সফল প্রয়োগ দেখার পর এই পরিকল্পনাই এবার মাথায় ঘুরছে কলকাতার বড় বড় পুজো কমিটির (Puja committee) একাংশের। আর এই ভাবনা থেকেই দূর্গাপুজোর প্রতিমা দর্শনের ক্ষেত্রে ই-টিকিট লাগু হতে পারে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে।
২৫শে সেপ্টেম্বর কলকাতার প্রধান পুজো কমিটির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay)। জানা গিয়েছে, সেই বৈঠকেই শহরের জনপ্রিয় পুজোমণ্ডপগুলিতে ই–পাস ব্যবস্থা চালু করার প্রস্তাব দেবেন ফোরাম ফর দুর্গোৎসবের সদস্যরা। ইতিমধ্যে তাঁরা বর্তমান পরিস্থিতিতে পুজো আয়োজনের ক্ষেত্রে জনসাধারণ ও সরকারের কাছে কিছু প্রস্তাব রেখেছেন। যেমন, রাতে ভিড় রুখতে নিয়ন্ত্রিত আলোকসজ্জা, প্রতিমা ও মণ্ডপের উচ্চতা কমানো, মণ্ডপের ভেতরে সর্বাধিক ২৫ জন দর্শনার্থী ইত্যাদি। এবার সেই তালিকায় জুড়ল ই–পাস।
এছাড়া মুখ্যমন্ত্রী প্রস্তাব দিয়েছেন পূজামণ্ডপের দু’পাশ খোলা রাখার। যাতে করে জীবাণু হাওয়ায় বেরিয়ে যেতে পারে। বিগত বছরগুলোতে শহর কলকাতার কোন মণ্ডপে কেমন ভিড় হয়েছিল সেই তথ্য ইতিমধ্যে পুলিশ ও পুরসভার কাছে থেকে জোগাড় করেছে ফোরাম ফর দুর্গোৎসব। তার মধ্যে বাছাই করা হয়েছে ৪০টি বিপুল জনপ্রিয় পুজোমণ্ডপকে। ফোরাম ফর দুর্গোৎসবের সাধারণ সম্পাদক শাশ্বত বসু (shashwata Basu) জানান, ওই ৪০টি পুজোয় ই–পাসের ব্যবস্থা করার কথা ভাবা হয়েছে। এ ব্যাপারে ২৫ তারিখ মুখ্যমন্ত্রীকে জানানো হবে। তিনিই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। ঠিক করা হয়েছে, সকাল ৮টা থেকে বিকেলের আগে পর্যন্ত যখন মণ্ডপ প্রধানত ফাঁকা থাকে, তখন এই পাস লাগবে না। কিন্তু রাতে ভিড় বাড়তে থাকার সঙ্গে সঙ্গে পড়বে ই–পাসের প্রয়োজনীয়তা। ই-পাস লাগু করা হলে এই ভিড়ে অনেকটাই রাশ টানা যাবে।