প্রয়াত কিংবদন্তীদের নামে হবে উদ্যান, ঘোষণা কলকাতা পুরসভার

সঙ্গীত জগতে এখন এক কালো অধ্যায় চলছে। একে একে প্রয়াত হয়েছেন লতা মঙ্গেশকর, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় এবং বাপ্পি লাহিড়ি। মাত্র নয় দিনের ব্যবধানে সুরলোকে পাড়ি দিয়েছেন তাঁরা সকলে। তার কিছুদিন আগেই আবার নন্টে ফন্টে, হাঁদা ভোঁদাকে অনাথ করে চলে গিয়েছেন কার্টুনিস্ট নারায়ণ দেবনাথ। দেড় বছর আগে বিদায় নিয়েছেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। সংস্কৃতির জগতে বিষাদের ছায়া নেমে এসেছে। এবার তাঁদের সকলকে মনে রাখতে অভিনব উদ্যোগ নিল কলকাতা পুরসভা।
ভারতরত্ন লতা মঙ্গেশকর-এর নামে তৈরি করা হবে একটি উদ্যান। সেখানে বসানো হবে সুরসম্রাজ্ঞীর মূর্তি। এছাড়াও গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ও নারায়ণ দেবনাথের নামে তৈরি হতে চলেছে তিনটি আলাদা উদ্যান বা পার্ক। লতা মঙ্গেশকরের মূর্তি নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণভাবে শেষ হলে দোলপূর্ণিমার আগেই উদ্যানগুলির উদ্বোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার। বৃহস্পতিবার পুরসভার অধিবেশনে এই ঘোষণা করা হয়। পাটুলির বি ব্লকে লতা মঙ্গেশকরের মূর্তি বসিয়ে অত্যাধুনিক পার্ক চালু করার কাজ চলছে। স্থানীয় কাউন্সিলর ও পুরসভার মুখ্য সচেতক বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তর উদ্যোগে লতা মঙ্গেশকর নামাঙ্কিত উদ্যানের পাশাপাশি অন্য তিনটি উদ্যান তৈরির কাজ চলছে একই গতিতে। নারায়ণ দেবনাথ নামাঙ্কিত উদ্যানের দেওয়ালে তাঁর অমর সৃষ্টি ‘হাঁদা-ভোঁদা’ ও ‘বাঁটুল দি গ্রেট’-এর ছবি ফুটিয়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ির পাশের রাস্তা তাঁর নামে নামাঙ্কিত করা হবে বলে জানা গিয়েছে। কলকাতার টাউন হলে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বাংলা তথা বাঙালির প্রায় তিনশো বছরের শিল্প, সংস্কৃতি, সাহিত্য ও মেধার বিভিন্ন দিক নিয়ে তৈরি করা হচ্ছে সংগ্রহশালা ও গবেষণাগার। টাউন হলের ওই বিশেষ বিভাগে কবি জয়দেব, ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংস, সাধকj বামদেব, ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম ও জয় গোস্বামীর বিষয়ে তথ্য ও তাঁদের সৃষ্টি সংরক্ষণ করা থাকবে।