লাল-সবুজের ‘সৌজন্যের রাজনীতি’! ভোটগ্রহণের দিন লাল জামা পরেই সিপিএম ক্যাম্পে বিশ্রাম মদনের, গিয়েছিলেন ফিরহাদও
চলছে ভবানীপুরে ভোটগ্রহণ। এই কেন্দ্রে তৃণমূলের তরফে প্রার্থী খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে বিজেপির হয়ে লড়ছেন প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল ও বামেদের তরফে প্রার্থী হলেন শ্রীজীব বিশ্বাস। এদিন ভোট চলাকালীন বুথ পরিদর্শন করতে বেরোন তৃণমূল নেতা মদন মিত্র। রাজনৈতিক বিভেদ ভুলে এদিন সিপিএম ক্যাম্পেই বিশ্রাম নিলেন তিনি।
গায়ে লাল জামা, চোখে রোদচশমা ও নিজের চেনা ভঙ্গিতেই এদিন মদন বলেন, “ভবানীপুর মানে হচ্ছে, নানা ভাষা, নানা মত, নানা পরিধান, বিবিধের মাঝে দেখো মিলন মহান। এটা ভবানীপুর, গুজরাত নয়”। আবার অন্যদিকে সিপিএম ক্যাম্পে গিয়ে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকেও এদিন চা পান করতে দেখা গিয়েছে।
সিপিএমের ক্যাম্পে বসে মদন বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এলাকা এটা। কী আছে। সবাই একই পাড়ার ছেলেপুলে”। সিপিএম ক্যাম্পের বেঞ্চে বসে ছাতার দিকে ইঙ্গিত করে মদন বলেন, “সুন্দর ছাতা লাগিয়েছে, ছায়া আছে। সবাই বসলাম একটু”। এদিন সৌজন্যের বার্তাও দেন কামারহাটির বিধায়ক। তাঁর দাবী, ভোটগ্রহণে কোনও ঝামেলা হয়নি। আর অল্পস্বল্প যা ঝামেলা হয়েছে তা পুলিশ সামলে নিয়েছে।
ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে সবথেকে বেশি প্রচার করতে দেখা গিয়েছিল মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে। আবার মদন মিত্রকেও তৃণমূল নেত্রীর হয়ে দেওয়াল লিখন করতে দেখা গিয়েছে। শুধু মদনই নন, এদিন ফিরহাদ হাকিমকেও দেখা যায় সিপিএম ক্যাম্পে বিশ্রাম নিতে।
সিপিএম ক্যাম্পে বসে ভাঁড়ে চা পান করতে দেখা যায় ফিরহাদকে। আবার জিজ্ঞেসও করে নেন, “চায়ে চিনি দিয়েছ তো”? অন্যদিকে ক্যাম্পে উপস্থিত সিপিএম নেতা বলেন, “আমাদের রাজনীতির সম্পর্ক ছাড়াও অন্যরকম সম্পর্ক আছে”। এই প্রসঙ্গে আবার ফিরহাদ হাকিম বলেন, “পাড়ার ছেলে, আমাদের মধ্যে অন্য সম্পৰ্ক আছে”।
উল্লেখ্য, এদিন সকালেই মদন মিত্রের বিস্ফোরক অভিযোগ আনেন বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। তিনি দাবী করেন যে মদন মিত্র ভবানীপুরের একটি বুথ জ্যাম করেছেন, ভোটিং মেশিন বন্ধ রেখেছেন। কিন্তু এই অভিযোগ উড়িয়ে দেন মদন মিত্র।
এছাড়াও এদিন ফিরহাদ হাকিম ও সুব্রত মুখোপাধ্যায় ব্যাপক বিতর্কে জড়ান। ভবানীপুরের মানুষের উদ্দেশ্যে টুইট করে এই দুই নেতা আবেদন জানান যাতে তারা ভোট দিতে যান। এর জেরে নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন করেন তারা। এই নিয়ে বিজেপির তরফে অভিযোগ তোলা হয়। গেরুয়া শিবিরের তরফে প্রশ্ন করা হয় যে ভোট চলাকালীন এমন কাজ কী করে করা যায়। এমন কাজ করে ওই দুই নেতা ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছেন বলেও অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের।