কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালের আটতলার কার্নিশে বসে পা দোলাচ্ছেন রোগী, দৃশ্য দেখে স্তম্ভিত সকলে, নামানোর চেষ্টা দমকলের
কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে ঘটে গেল এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। মল্লিকবাজারের ইনস্টিটিউট অফ নিউরোসায়েন্সের আটতলার কার্নিশে উঠে গেল এক রোগী। তাঁর যাতে কোনও বিপদ না হয়, সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। দমকলে খবর দেওয়া হলে হাইড্রোলিক ল্যাডারের সাহায্যে ওই রোগীকে নামানোর চেষ্টা করা হয়।
কয়েকদিন ধরেই ওই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ওই ব্যক্তি। আজ, শনিবার সকালে আটতলার জানলা দিয়ে কার্নিশে যান তিনি। বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নজরে পড়ে বিষয়টি। দেখা যায় কখনও কার্নিশে উঠে দাঁড়িয়ে রয়েছেন ওই ব্যক্তি, তো আবার কখনও কার্নিশে বসে পা ঝোলাচ্ছেন। মুহূর্তের মধ্যেই আবার ভঙ্গিমা বদল করে হাঁটু ভাঁজ করেও বসতে দেখা যায় তাঁকে। কখনও আবার হাত তুলে কথাবার্তা বলার চেষ্টা করেন ওই রোগী।
রোগীটিকে নানানভাবে বোঝানোর চেষ্টা করা হয়। তিনি উদ্বেগ বাড়িয়ে অত্যাধিক নড়াচড়া করতে শুরু করে দেন এরপর। জানলা দিয়ে মুখ বাড়িয়ে তাঁকে বোঝানর চেষ্টা করেন পুলিশকর্মীরা। কিন্তু কোনও কথা শুনতে নারাজ ওই রোগী। বারবার অস্থিরভাবে হাত নাড়াতে থাকেন ওই রোগী। এই ঘটনা হাসপাতাল এবং পুলিশের আরও উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
দমকলে খবর দেওয়া হলে দ্রুত হাইড্রোলিক ল্যাডার-সহ দমকল কর্মীরা পৌঁছন ঘটনাস্থলে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ওই নীচে নামানোর চেষ্টা করা হয় যুবককে। এদিকে আটতলার কার্নিশ থেকে নীচে পড়ে গেলে বড়সড় বিপদ ঘটতে পারে। প্রাণহানিও হতে পারে। এই কারণে ওই ব্যক্তি যাতে কোনওভাবেই নীচে না পড়ে যান, তাই আগাম সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়ে। কিন্তু হাইড্রোলিক ল্যাডার ওই রোগীর কাছাকাছি পৌঁছনোমাত্র আত্মহত্যার হুমকি দেন ওই রোগী।
প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে কার্নিশেই বসে থাকেন ওই ব্যক্তি। তাঁকে দেখতে নীচে ভিড় জমা হয়েছে। মল্লিকবাজার মোড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। যানচলাচল একপ্রকার বন্ধই হয়ে যায়। পরিস্থিতি সামাল দিয়ে বিরাট পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়।কীভাবে হাসপাতাল কর্মীদের নজর এড়িয়ে কার্নিশে পৌঁছল ওই রোগী, এই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
এই বিষয়টি নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। ওই রোগীর পরিচিতিও জানা সম্ভব হয়নি। তার পরিবাররের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। অবিলম্বে কীভাবে তাঁর কাছাকাছি পৌঁছনো যায়, সেই সম্পর্কে যাবতীয় চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে অনেকটা সময় কেটে গেলেও রোগীর কাছাকাছি পৌঁছনো সম্ভব হয়ে ওঠেনি এখনও পর্যন্ত।