শহরে যানজট কমানোর জন্য নয়া পরিকল্পনা, গঙ্গার উপর তৃতীয় হুগলি সেতু তৈরির প্রস্তাব বেসরকারি সংস্থার

শহরে যানজট এড়ানোর জন্য এবার নতুন পরিকল্পনা করছে এক বেসরকারি সংস্থা। গতকাল, মঙ্গলবার কলকাতা পুলিশ, জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ, পরিবহণ, পূর্ত কর্তাদের সঙ্গে একটি বৈঠকে শহরে রিং রোডের প্রস্তাব আনে ওই সংস্থা। শুধু তাই-ই নয়, দ্বিতীয় হুগলি সেতুর উপর চাপ কমাতে বাউড়িয়া থেকে বজবজ পর্যন্ত গঙ্গার উপর একটি সেতু নির্মাণের প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে বলে খবর। এই সেতুকে বলা হবে তৃতীয় হুগলি সেতু।
দ্বিতীয় বিবেকানন্দ ব্রিজ টোলওয়ে কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেডের তরফে কলকাতাকে কেন্দ্র করে পার্শ্ববর্তী এলাকার উপর দিয়ে এই রিং রোডের পরিকল্পনা করা হয়েছে। সংস্থার চেয়ারম্যান লালা কে কে রায় বলেন, “মোট ২০০ কিলোমিটার অংশ জুড়ে এই রিং রোড তৈরি হবে। খরচ পড়বে প্রায় চার হাজার কোটি টাকার বেশি। জাতীয় সড়কের যোগসূত্র হচ্ছে হাওড়ার পাঁচলা। সেখান থেকে বাউড়িয়া হয়ে গঙ্গার উপর গিয়ে বজবজে ব্রিজ তৈরি হবে। বজবজ থেকে মহেশতলা, গার্ডেনরিচ হয়ে জোকা-তারাতলা আমতলা, সোনারপুর, বারুইপুর, বাসন্তী হাইওয়ে, টাকি রোড, বসিরহাট, কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে, বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে, নিবেদিতা সেতু, ডানকুনি হয়ে জাতীয় সড়ক দিয়ে পাঁচলা পর্যন্ত হবে এই রোড”।
রিং রোড থেকে শহরে ঢোকার জন্য নানান রাস্তা থাকবে। রিং রোড ধরে গাড়ি যাতায়াতের জন্য টোল থাকবে বলে জানা গিয়েছে। এই রাস্তা আট লেনের হবে এমনটাই আপাতত স্থির করা হয়েছে। বাণিজ্যিক গাড়ি যাতায়াতের জন্য এই রাস্তা বিশেষ উপযোগী হবে।
নানান বড় বড় শহরে যানজট এড়ানোর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে রিং রোডের পরিকল্পনা করা হয়েছে। কলকাতার ক্ষেত্রেও সেই একই পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে জানান সংস্থার কর্ণধাররা। তবে তাদের মতে, এই প্রক্রিয়া বেশ জটিল।
আসলে এই প্রক্রিয়া সফল করতে একদিকে যেমন টাকার প্রয়োজন, তেমনই আবার জমিরও দরকার। রিং রোড এলিভেটেড হবে বলে জানা গিয়েছে। এদিনের এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন যাদবপুর ও শিবপুরের বিশেষজ্ঞরাও।
নবান্ন সূত্রে খবর, এই গোটা বিষয়টিই এখন প্রাথমিক স্তরে রয়েছে। প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্তারা এই বিষয় নিয়ে প্রথমে আলোচনা করবেন। তারপর তা পাঠানো হবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। হায়দ্রাবাদ, বেঙ্গালুরু, দিল্লিতে রিং রোড ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে। কলকাতাতেও তা হবে কী না, তা মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে।