কাজে ঢিলেমি দিচ্ছে পুরসভা, কোনও কাজ করে নি, অভিযোগ তুলে কালীঘাট মন্দির সংস্কারের দায়িত্ব রিলায়েন্সকে দিল মন্দির কর্তৃপক্ষ
এতদিন এসব দায়িত্ব সরকারের হাতেই ছিল। তবে এবার তা বেসরকারিকরণ হতে চলেছে। পুরসভা নিজের কাজ করছে না, কাজে ঢিলেমি দিচ্ছে। কাজে গাফিলতির অভিযোগ তুলে এবার কালীঘাট মন্দির সংস্কারের দায়িত্ব রিলায়েন্সের হাতেই তুলে দিল মন্দির কর্তৃপক্ষ।
গতকাল, বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে এই দায়িত্ব হস্তান্তর করা হয় রিলায়েন্সকে। এই বিষয়ে মন্দির কমিটির সহ সভাপতি বাবলু হালদার সংবাদমাধ্যমে জানান, “রিলায়েন্স মন্দির সংস্কারের দায়িত্ব নিতে চেয়েছিল। আমরা বৈঠক করে সেই দায়িত্ব অর্পণ করে দিয়েছি। কয়েকদিনের মধ্যেই কাজ শুরু হবে। মন্দিরের ঐতিহ্য বজায় রেখেই কাজ এগোবে”।
জানা যাচ্ছে, ডিসেম্বরের মধ্যেই এই সংস্করণের কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। রিলায়েন্সের তরফেও এমনই আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, মা কালীর গর্ভগৃহ থেকে শুরু করে মন্দিরের ভোগঘর, নাটমন্দির, চাতাল, কুণ্ডপুকুর, শিবমন্দির-সহ গোটা এলাকা সংস্কার করা হবে। কালীঘাট মন্দিরের যে ঐতিহ্য, তা বজায় রেখেই সমস্ত সংস্কারের কাজ হবে বলে জানিয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ।
মা কালীর গর্ভগৃহ, শিবমন্দির, ভোগঘর, নাটমন্দির, গ্রেড ‘এ’ হেরিটেজের আওতায় পড়ে। তাই সেই জায়গা সংস্কারের আগে কলকাতা পুরসভার হেরিটেজ কমিটি ও রাজ্য হেরিটেজ কমিশনের অনুমোদন প্রয়োজন। সসেই কারণে আগে আপাতত বাকি অংশগুলির কাজ চলবে। পরে অনুমোদন মিল্লে কালীপুজোর পর গর্ভগৃহ-সহ বাকি জায়গাগুলির সংস্কারের কাজ শুরু হবে বলে জানা যাচ্ছে।
সূত্রের খবর, কালীঘাট মন্দিরের ঐতিহ্য ধরে রেখেই মানানসই টাইলস বসানো হবে। গোটা মন্দির নতুন করে রঙ করা হবে। মন্দিরের পূর্ব প্রবেশদ্বার থেকে আদি গঙ্গা পর্যন্ত যে রাস্তাটি রয়েছে, সেই রাস্তার সৌন্দর্যায়ন হবে। এই খাতে মোট ৩০ কোটি টাকা খরচ হবে বলে জানা গিয়েছে।
বলে রাখি, এতদিন পর্যন্ত কালীঘাট মন্দিরের সংস্কারের দায়িত্ব পুরসভার হাতেই ছিল। কিন্তু সেই কাজ নিয়ে মন্দির কমিটি বেশ ক্ষুব্ধ। সেই কারণে এবার সংস্কারের দায়িত্ব তারা তুলে দিয়েছে রিলায়েন্সের হাতে। এই বিষয়ে পুরসভা থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।