কলকাতা

বৃষ্টি হলেই বাড়ির সামনে জমে যায় জল, সমস্যার সমাধান চেয়ে কলকাতার মেয়রকে চিঠি দিলেন সৌরভ

বাড়ির সামনে গোড়ালি পর্যন্ত জল। বর্ষা এলে বেরোনো যায় না। এই সমস্যার সমাধান যাতে দ্রুত হয়, সেই কারণ এবার কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে (Firhad Hakim) চিঠি লিখলেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক তথা ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly)। ক্যামাক স্ট্রীট বা রডন স্ট্রীটে আগের তুলনায় জল জমার সমস্যা (water logging) কমলেও মুষলধারে বৃষ্টি হলে জল জমেই যায়। ওই রাস্তাতেই বাড়ি কিনেছেন মহারাজ।

সূত্রের খবর অনুযায়ী, বাড়ির সামনের রাস্তায় বর্ষার জমা জল নিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক বেশ উদ্বিগ্ন। শীঘ্রই নতুন বাড়ির সংস্কার করে সেখানে গৃহপ্রবেশ করবেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। সামনেই বর্ষা নামবে বাংলায়। আর তার আগে জমা জলের সমস্যা মেটাতে মেয়রকে অনুরোধ জানিয়েছেন সৌরভ।

কলকাতা পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ৮/১ এ, লোয়ার রডন স্ট্রিটে গত বছর মে মাসে একটি পুরনো বাংলো বাড়ি কিনেছেন মহারাজ। সেই বাড়ি নিয়েই কলকাতার মেয়রের অফিসে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি।

সূত্রের খবর, জল জমার সমস্যা মেটাতে কলকাতা পুরসভা বদ্ধপরিকর। বিগত পাঁচ বছরে শহরে পাম্পিং স্টেশনের সংখ্যা বেড়েছে। শহরে এখন ৭৬টি পাম্পিং স্টেশন রয়েছে। ৪০৮টি পাম্প রয়েছে যার মধ্যে কাজ করছে ৩৯৪টি। বাকিগুলি বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে। তবে সেগুলি দ্রুত মেরামত করার চেষ্টা করছে পুরসভা।

জানা গিয়েছে, নিকাশি ব্যবস্থা ঠিক করে জল জমার সমস্যা দূর করতে ২০১০ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ১ লক্ষ ৭৭ হাজার মেট্রিক টন ময়লা তোলা হয়েছে। ২০১৫ সাল থেকে ২০২০ সালে সেই ময়লা তোলার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১০ লক্ষ ৪৪ হাজার মেট্রিক টনে।

পুরসভার সূত্রে খবর, সৌরভ ওই চিঠিতে লিখেছেন, আগামীদিনে তিনি ওই বাড়িতে বসবাস করবেন। এই কারণে কিছু নির্মাণকাজ শুরু হবে ওই বাড়িতে। বিল্ডিং প্ল্যানের জন্য অনুমোদন পেতে তিনি শীঘ্রই কলকাতা পুরসভার বিল্ডিং বিভাগে আবেদন জানাবেন। সৌরভের কথায়, তিনি জানতে পেরেছেন যে ওই রাস্তা-সহ গোটা চত্বরেই বৃষ্টি হলেই জল জমে যায়। এই কারণে ওই অঞ্চলের বাড়িগুলির ক্ষতি হচ্ছে। সেই জমা জলের সমস্যা সমাধান করতে যাতে কলকাতা পুরসভা পদক্ষেপ নেয়, এমনই আবেদন জানিয়েছেন দাদা।

debangon chakraborty

Related Articles

Back to top button