ভবানীপুরে বইছে মমতার জয়ের হাওয়া, অন্যদিকে কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হল বিজেপির হেস্টিংসের অফিস

চলছে সপ্তম রাউন্ডের গণনা। মোট ২১ রাউন্ড গণনা হবে। ইতিমধ্যেই ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৩০ হাজার ভোটে এগিয়ে গিয়েছেন। আর এর জেরে এখনই কালীঘাটে শুরু গিয়েছে ঘাসফুল শিবিরের কর্মী-সমর্থকদের জয়ের উল্লাস। মমতা একরকম জিতেই গিয়েছেন তাদের মতে। এদিকে তখন বিজেপির হেস্টিংসের অফিসে তখন নীরবতা। কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হল বিজেপি অফিসকে।
কোনও রকমের অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে, এই কারনেইনেম্ন ব্যবস্থা বলে জানা গিয়েছে। এও জানা গিয়েছে যে বিজেপির নির্বাচনী কার্যালয়ের সামনের গার্ডরেলের চারদিকে পুলিশ ঘোরাফেরা করছে। ক্রমশই সেই সংখ্যা একটু একটু করে বাড়ছে।
শুধুমাত্র ভবানীপুর নয়, সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুরেও এদিন চলছে ভোট গণনা। ভবানীপুরের মতোই বাকি দুই কেন্দ্রেও এগিয়ে রয়েছে তৃণমূলই। এক একটা রাউন্ড শেষ হচ্ছে আর বাড়ছে ভোটের ব্যবধান। ক্রমেই এগিয়ে যাচ্ছে ঘাসফুল শিবির। আর এই সময়ে একেবারে শুনশান হয়ে গিয়েছে পদ্ম শিবিরের নির্বাচনী কার্যালয়। অফিসের সামনে কোনও বিজেপি নেতাকে দেখা গেল না।
এদিকে আজকের ভোটের ফলাফল নিয়ে বিজেপি নেতৃত্বের কেউই মুখ খুলতে চান নি। তাদের কথায়, যা পরিস্থিতি, তাতে এখনই কিছু বলা যাবে না। যে কোনও সময় যা কিছু ঘটতে পারে। গতকালই বিজেপির তরফে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যাতে দলের লাইনের বাইরে গিয়ে কেউ যাতে সংবাদমাধ্যমে আলাদা করে কোনও মন্তব্য না করে।
এদিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। তবে প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এদিন প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে বলেন যে তিনি শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন। এদিকে বিজেপির একাংশের মত, ভবানীপুরে কী ফলাফল হবে, তা নিয়ে সকলেরই একটা ধারণা ছিলই। তাই ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভের আশঙ্কা থেকেই এই কড়া নিরাপত্তা জারি করা হয়েছে বিজেপির হেস্টিংসের অফিসে।