মুখ্যমন্ত্রীর সহায়তায় কোটা থেকে বাংলায় ফিরল আটকে পড়া পড়ুয়ারা
এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বদান্যতায় বাড়ি ফিরল কোটায় আটকে থাকা পড়ুয়ারা। আটকে থাকা পড়ুয়াদের ফিরিয়ে আনার কথা দিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর উদ্যোগেই রাজস্থানের কোটা থেকে বাসে চড়ে বাংলায় ফিরল পড়ুয়ারা। বাড়ি ফিরতে পারায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়েছে ছাত্রছাত্রীরা। শুক্রবার আসানসোলের ঝাড়খণ্ড সীমানার ডুবুডি চেকপোস্টে বাসগুলি এসে দাঁড়ায়। তাঁদের অভ্যর্থনা জানান পুলিশ কর্তারা। কুলটির চৌরঙ্গি মোড়ে একটি রিসর্টে ভিন জেলার পড়ুয়াদের থাকা, খাওয়ার ব্যবস্থাও করা হয়।
মন্ত্রী মলয় ঘটক নিজে সকলের সঙ্গে কথা বলেন। ভিনজেলার পড়ুয়াদের জেলাভিত্তিক বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। এই উদ্যোগের জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদজ্ঞাপন করে তারা। পড়ুয়ারা বলে, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অশেষ ধন্যবাদ। তাঁর আশীর্বাদেই বাড়ি ফিরতে পারছি। ১৫০০ কিলোমিটার পেরিয়ে বাসে করে ফিরছি। মুখ্যমন্ত্রী এভাবে পাশে না দাঁড়ালে বাড়ি ফিরতে পারতাম না। মেস বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। খাবার জুটছিল না। কীভবে বাড়ি ফিরবো তা ভাবতেই ভয় লাগছিল। কিন্তু বাংলার মুখ্যমন্ত্রী যেদিন আশ্বাস দিলেন সেদিন বুকে বল এসেছিল।’
প্রশাসনের তরফে ঠিক কেমন ব্যবস্থা করা হয়েছিল? ভিনরাজ্যে আটকে পড়া পড়ুয়াদের দাবি, ‘এলাহি আয়োজন করেছে প্রশাসন। কোনও অসুবিধা হয়নি। এভাবে এত নিশ্চিন্তে বাড়ি ফিরতে পারবো তা ভাবতেই পারিনি। সবাইকে আমাদের আন্তরিক ধন্যবাদ তাদের এই পরিশ্রমের জন্য। আজ বুঝতে পারছি বাংলার প্রশাসন যথেষ্ট মানবিক।’
মহকুমা শাসক অনির্বাণ কোলে নিজে দাঁড়িয়ে থেকে পড়ুয়াদের তদারকি করেন। ছিলেন ডিসিপি অভিষেক গুপ্তা। বাস সাড়ে ১১ টা নাগাদ বাঁশকোপাতে পৌঁছয়। হাওড়া, হুগলি, কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা এবং দুই মেদিনীপুরের মোট ৭৫৯ জন পড়ুয়া বাঁশকোপার লজে বিশ্রাম নেয়। শারীরিক পরীক্ষা করা হয় তার। সকালের এবং দুপুরের খাবারেরও বন্দোবস্ত করা হয়েছে। সেখান থেকে বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। দেওয়া হয় মাস্ক এবং স্যানিটাইজারও।
দুর্গাপুর মহকুমা শাসক অনির্বাণ কোলে বলেন, ‘৩৪টি বাস নিজের নিজের জেলায় পৌঁছে দেবে তাদের। জেলা প্রশাসন তখন তাদের নিজের নিজের বাড়ি পৌঁছে দেবে। সেখানে তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।
এদিকে ঘটে অন্য এক বিপত্তি। রাজস্থানের কোটা থেকে আসা পড়ুয়াদের শান্তিনিকেতন থানার গোয়ালপাড়ায় একটি বৃদ্ধাশ্রমে রাখার বন্দোবস্ত করা হয়। কিন্তু স্থানীয়রা তাতে আপত্তি জানায়। বিক্ষোভও দেখান তাঁরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ-সহ বোলপুর ব্লকের বিডিও। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতেই বোলপুর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক বিশাল পুলিশবাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। এর আগে পাড়ুইয়ে কোয়ারেন্টাইন সেণ্টার করাকে কেন্দ্র করেও গোষ্ঠী সংঘর্ষ হয়। তাতে প্রাণও যায় একজনের।