Kolkata

আনন্দবাজার পত্রিকার সম্পাদকীয়তে সাংঘাতিক ভুল, ভারতের ম্যাপ থেকে বাদ জম্মু কাশ্মীর! নিঃশর্ত ক্ষমা না চাইলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে চলেছে বিজেপি

বিজ্ঞাপন

‘আনন্দবাজার পত্রিকা’, নানান আঞ্চলিক সংবাদপত্রের মধ্যে সবথেকে আগে নাম আসে এই পত্রিকার। হ্যাঁ, আনন্দবাজার পত্রিকা বাংলা পত্রিকা হলেও গোটা দেশে কিন্তু এই সংবাদপত্র বা বলা ভালো এই সংবাদমাধ্যম একচ্ছত্র রাজত্ব চালাচ্ছে। তবুও এই পত্রিকার নাম বাজারে বেশ খারাপ। অনেকেই এই সংবাদপত্রকে হিন্দুবিরোধী সংবাদপত্র নামেও আখ্যা দেন।

বিজ্ঞাপন

হবে নাই বা কেন! সেরকম নানান কাণ্ডই তো আনন্দবাজার পত্রিকা ঘটিয়ে এসেছে। আর এই বাড়বাড়ন্ত আরও বেশি শুরু হয়েছে যেন ২০১৪ সালের পর থেকেই। হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছেন নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই।

বিজ্ঞাপন

আনন্দবাজার পত্রিকার সম্পাদকীয়তে সাংঘাতিক ভুল, ভারতের ম্যাপ থেকে বাদ জম্মু কাশ্মীর! নিঃশর্ত ক্ষমা না চাইলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে চলেছে বিজেপি 2

বিজ্ঞাপন

অনেকেরই ধারণা, হিন্দুদের হয়ত খুব সহজেই আঘাত করা যায়। এই পত্রিকাও তাদের মধ্যেই একজন। নানান ধরণের ভুল বারবার উঠে এসেছে এই পত্রিকায়। ভুল হতেই পারে যে কোনও মাধ্যমেই। কিন্তু বারবার হিন্দুবিরোধী ভুলই বা কেন এই পত্রিকার হয়, সে কথা আজও অবশ্য অজানা।

বিজ্ঞাপন

সম্প্রতি ফের এমনই এক চরম ভুল করে বসেছে আনন্দবাজার পত্রিকা। আর সেই ভুল যে ইচ্ছাকৃত ভুল, তা কারোর অজানা নয়। ৭ই জানুয়ারিতে প্রকাশিত আনন্দবাজার পত্রিকার ৪ নম্বর পাতায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে যার লেখক সব্যসাচী কর নামের একজন। না, লেখক বা লেখকের লেখনী নিয়ে কোনও সমস্যা তৈরি হয়নি। সমস্যা তো এই লেখায় ব্যবহৃত ছবিতে।

বিজ্ঞাপন

এই লেখায় ভারতীয় মানচিত্রের একটি ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু এতে ভারতীয় মানচিত্রের যে ছবি দেওয়া হয়েছে তা সম্পূর্ণভাবে বিকৃত। অর্থাৎ ভারতীয় মানচিত্রে জম্মু-কাশ্মীরকে ভারত থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এর অর্থ, জম্মু-কাশ্মীরকে পাকিস্তানের অংশরূপে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই একই ভুল দেখা গিয়েছে আনন্দবাজার পত্রিকার ডিজিটাল মাধ্যমেও।

এই ভুল সংবাদপত্রটি বেশ ইচ্ছাকৃতভাবেই করেছে কিনা তা স্পষ্ট নয়। কিন্তু বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন মাঝেমধ্যেই এমন বিকৃত ভারতীয় মানচিত্রের ছবি সামনে এনে থাকেন। আর নিজেদের সংবাদপত্রে সেই একই ছবি প্রকাশ করে আনন্দবাজার পত্রিকা কি কার্যত স্বীকার করে নিল যে তারাও সেই বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনেরই অংশ?

আনন্দবাজারের পত্রিকার এই ভুল অনেকের চোখে পড়লেও, কেউ হয়ত বলার সাহস করে উঠতে পারেন নি। তবে সাহস দেখিয়েছেন একজন। আইনজীবী তথা বিজেপি যুব নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারি।

আনন্দবাজার পত্রিকার এই অংশের ছবি নিয়ে সেই সংবাদমাধ্যমের সম্পাদককে অভিযোগ জানিয়ে চিঠি লিখেছেন। তিনি দাবী করেছেন যদি আগামী ১০ দিনের মধ্যে সংবাদমাধ্যমের তরফে সকলের সামনে নিঃশর্ত ক্ষমা না চাওয়া হয়, তাহলে বৃহত্তর আন্দোলন হবে। বিজেপি যুব নেতার একটাই কথা, ‘সবকিছুর একটা সীমা থাকা দরকার’। আর এবার আনন্দবাজার পত্রিকা সব সীমা লঙ্ঘন করে ফেলেছে।

যে জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে এতদিন ধরে এত লড়াই, এত বিবাদ, নিজের দেশের সেই মহামূল্যবান এলাকাকে কীভাবে এত সহজে শত্রু দেশের অংশ করে দিতে পারে দেশেরই কোনও সংবাদমাধ্যম, তা নিয়ে ক্ষোভ জমেছে নেটিজেনদের মনেও। আনন্দবাজার পত্রিকার তরফে এবার কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়, এখন সেটাই দেখার।

বিজ্ঞাপন
Back to top button

Discover more from Khabor24x7

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading