দেশে বিদেশে

ভারতের নতুন কৃষি আইনকে সমর্থন করে, কৃষক আন্দোলনকে ‘সমৃদ্ধ গণতন্ত্রের পরিচয়’ আখ্যা বাইডেন সরকারের

বিজ্ঞাপন
দুই নৌকায় পা দিয়ে চলছে জো বাইডেনের আমেরিকা। একদিকে ভারতের নতুন কৃষি আইনকে সমর্থন‌ও করছে অন্যদিকে আবার কৃষক আন্দোলনের প্রতিও আস্থা রাখছে।

কৃষি আইনকে স্বাগত জানিয়েও কৃষক আন্দোলনকে গণতন্ত্রের অনন্য নজির বলে উল্লেখ করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আর এইভাবেই নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল তাঁরা।

বিজ্ঞাপন

মার্কিন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র কৃষক আন্দোলনকে ‘সমৃদ্ধ গণতন্ত্রের পরিচয়’ হিসেবে উল্লেখ করে জানিয়েছেন, সমৃদ্ধ গণতন্ত্রের পরিচয় দিচ্ছে কৃষকদের আন্দোলন। ভারতের সুপ্রিম কোর্টও একই কথা বলেছে। পাশাপাশি, বিদেশ মন্ত্রকের বক্তব্য, আইন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে যে মত পার্থক্য হয়েছে তা কথা বলে সমাধান করে নেওয়া উচিত। কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন করেও তাঁরা কৃষি আইনকে স্বাগত জানিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

ইতিমধ্যেই ভারতের কৃষক আন্দোলনের পাশে দাঁড়িয়েছেন  পপস্টার রিহানা। এই আন্দোলনকে সমর্থন করেছেন সমাজকর্মী  গ্রেটা থানবার্গও এই আন্দোলনের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তারপর থেকেই ভারতে উঠেছে প্রতিবাদের ঝড়। এই আবহে আমেরিকার এহেন অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

বিজ্ঞাপন

বুধবার কৃষি আইন নিয়ে বলতে গিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মুখপাত্র তাকে স্বাগত জানিয়েছেন। বিদেশ মন্ত্রকের কথায়, দিল্লি সীমান্তে আন্দোলন করছেন কৃষকরা। তাঁদের আন্দোলন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে। ৩ কৃষি আইন নিয়ে বেশ কিছু মত পার্থক্য তৈরি হয়েছে। তা কথা বলে মেটাতে হবে। ভারতের বাজারকে উন্নত করতে এবং বেসরকারি খাতে আরও বিনিয়োগকে আকৃষ্ট করতে পারবে কেন্দ্রের নতুন এই আইন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানাচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে পাশ হয় কৃষি আইন। ২৬ নভেম্বর থেকে দিল্লির একাধিক সীমানায় অবস্থানে বসেছেন তাঁরা। দফায় দফায় কৃষকদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে কেন্দ্রের মেলেনি সমাধান।

এর মাঝেই  ২৬শে জানুয়ারি গণতন্ত্র দিবসের দিন, চরমে ওঠে কৃষক পুলিশ সংঘর্ষ। লাল কেল্লার দখল নেয় কৃষকরা। আর তারপর থেকেই কার্যত দুর্গে পরিণত হয়েছে দিল্লি।

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
Back to top button

Discover more from Khabor24x7

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading