চীন-পাকিস্তান যৌথভাবে সাঁড়াশি আক্রমণে কোণঠাসা করতে চাইছে ভারতকে!
করোনা আবহেই লাদাখ সীমান্তকে কেন্দ্র করে কিছুদিন আগে থেকেই ভারত-চীন উত্তাপ বৃদ্ধি পায়। কিন্তু ১৫ই জুন গালওয়ান উপত্যকায় দুই দেশের সেনার মধ্যে সংঘর্ষ সেই উত্তাপে ঘৃতাহুতির মত কাজ করে। এরপর থেকেই পরিস্থিতি সামলাতে সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা চালাচ্ছে ভারত ও চীন। আলোচনা চললেও কিছুতেই বেরোচ্ছে না কোনও সমাধান সূত্র।
এই অবস্থায় ভারতের ওপর চেপে বসতে ভারতের আরেক শত্রু দেশ পাকিস্তানের সহায়তা নিতে চলেছে চীন। পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় আগে থেকেই সেনা মোতায়েন করেছে বেজিং। জানা যাচ্ছে এবার পশ্চিম লাদাখ লাগোয়া পাক অধিকৃত কাশ্মীরের গিলগিট-বালতিস্তানে ইতিমধ্যে পাকিস্তানি সেনার সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। পরম বন্ধুরাষ্ট্র চীনকে সাহায্য করতেই ওই এলাকায় অতিরিক্ত ২০ হাজার সেনা ইতিমধ্যেই পাঠিয়েছে ইসলামাবাদ। শুধু তাই নয়, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের এয়ার স্ট্রিপগুলিতে নিয়মিত ওঠানামা করতে দেখা যাচ্ছে চীনা বিমান।
জানা যাচ্ছে, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের এয়ার স্ট্রিপগুলিতে চীনের বায়ুসেনার মুভমেন্ট দেখতে পেয়েছে ভারতীয় গোয়েন্দারা৷ সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা সতর্ক করে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকারকে৷ তাঁদের দেওয়া খবর অনুযায়ী, ৪০-এর বেশি চীনা ফাইটার জেট জে-১০ স্কার্দুতে দেখা গিয়েছে৷ এই প্রেক্ষিতে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে চীনা বায়ুসেনা ভারতে হামলার জন্য এই এয়ারবেস ব্যবহার করার প্রস্তুতি নিচ্ছে৷
গোয়েন্দাদের তথ্য অনুযায়ী চীনা সেনা আধিকারিকরা সম্প্রতি পাক সেনা এবং পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর সঙ্গে যোগাযোগ বাড়িয়েছেন। গোয়েন্দাদের অনুমান, নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি)-র কাছে পাক অধিকৃত কাশ্মীর ও গিলগিট বালটিস্তানে যে অতিরিক্ত ২০ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে ইসলামাবাদ, তা-ও আসলে চীনের নির্দেশে। বালাকোট কাণ্ডের পরেও এত সেনা পাক সীমান্তে দেখা যায়নি।
দুই দেশ মিলে সাঁড়াশি আক্রমণে ভারতকে কোণঠাসা করতে চাইছে বেজিং প্রশাসন। এক্ষেত্রে ভারতে সন্ত্রাসমূলক কর্যকলাপ বৃদ্ধিতেও উদ্যত হয়েছে চীনা প্রশাসন। সূত্রের খবর, পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ‘আল বাদর’-এর নেতাদের সঙ্গে চীনা কর্তারা কথাও চালিয়ে যাচ্ছেন।
চীন ও পাকিস্তানের এই সংযুক্ত আক্রমণ ভারত কিভাবে মোকাবিলা করবে তা নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে ভারতীয় সেনা ও গোয়েন্দাদের মধ্যে।