ব্যবসার চাপ নাকি বৈঠকের সিদ্ধান্ত? গালওয়ান থেকে দেড় কিলোমিটার পিছু হটল লাল ফৌজ
গতমাসের শেষে ভারত চীন সংঘর্ষের ইতি টানতে দুই পক্ষই নিজেদের সেনা সরাতে সম্মতি জানিয়েছিল। এবার পূর্ব লাদাখে অবশেষে চীনা সেনারা নিজেদের অবস্থান থেকে কিছুটা সরলো। ভারতীয় সেনা সূত্রে খবর, সেখান থেকে তাঁবু, গাড়ি নিয়ে লাল ফৌজেরা ১-১.৫ কিলোমিটার পিছনে চলে গেছে।
ছয় দিন আগে কোর কম্যান্ডারদের বৈঠকে নিজেদের বাহিনী কিছুটা পিছিয়ে নেবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দুই পক্ষই। কিন্তু অতীতে এরকম বোঝাপড়া হলেও সেটা মানেনি চীন। সেই কারণেই গালওয়ান উপত্যকায় ১৪ নম্বর পয়েন্টে ১৫ই জুন সংঘর্ষ হয় এবং ২০ জন ভারতীয় সেনা সেখানে শহীদ হন।
কিন্তু এবার কোর কম্যান্ডারদের বৈঠকে হওয়া ডিসএনগেজমেন্ট-এর সিদ্ধান্তকে মেনে নিল চীন। সূত্রের খবর, বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাজ চলছে। পয়েন্ট ১৪ থেকে তাঁবু ও অন্যান্য পরিকাঠামো সরিয়ে ফেলেছে লাল ফৌজদাররা। কোর কম্যান্ডারদের বৈঠকে স্থির হয়েছিল যে দ্রুত ধাপে ধাপে দুই পক্ষের সেনা সংখ্যা কমানো হবে ওই জায়গা থেকে। এমনকি প্রতিটি পদক্ষেপের পর অপরপক্ষে কাজ হয়েছে কিনা সেটাও দেখা হবে। তারপর প্রতি ৭২ ঘণ্টার তফাতে ডিসএনগেজমেন্ট-এর পরবর্তী ধাপটি নেওয়া হবে। ভারতীয় সেনা সূত্রের খবর, গালওয়ান, হট স্প্রিংস-গোগরা পোস্ট অঞ্চল থেকে চীন সেনা নিজেদের গাড়িও সরিয়ে দিয়েছে।
তবে ভারতীয় সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে এখনও চীনের সাঁজোয়া গাড়ি আছে তাদের সীমান্তের ডেপথ এলাকায়। অর্থাৎ চীন নিজেদের দিকে যথেষ্ট সেনা ও সরঞ্জাম মজুত রাখছে। অন্যদিকে সীমান্ত পরিস্থিতির ওপর কড়া নজরদারী চালাচ্ছে ভারতও।
লাদাখে চীনের আগ্রাসনের দরুন দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক প্রায় তলানিতে এসে ঠেকেছে। শুধু তাই নয়, টেলিকম, হাইওয়ে, বিদ্যুৎ সহ বিভিন্ন ভারতীয় সেক্টরে চীনের ব্যবসা লাটে উঠেছে। ইতিমধ্যেই টিকটক সহ ৫৯টি চীনা অ্যাপ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ভারত সরকার।