করোনা সংক্রমনের অভিযোগে চীন ও হু-র বিরুদ্ধে মামলা বিহারের আদালতে, সাক্ষী মোদি, ট্রাম্প

এবার চীনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হল ভারতে। বিশ্বে করোনার মতো মহামারী সংক্রমন ছড়ানোর জন্য এবার বিহারের আদালতে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র ডিরেক্টর জেনারেল টেডরস আধানম ঘেব্রেউসকে অভিযুক্ত করলেন এক জনৈক আইনজীবী। এমনকি তাঁর অভিযোগনামায় সাক্ষীর জায়গায় নাম রয়েছে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের।
অভিযোগকারীর আইনজীবী মুরাদ আলির দাবি, জিনপিং ও ঘেব্রেউস চীনের উহান থেকে সারা বিশ্বে করোনাভাইরাস ছড়িয়েছেন। তিনি পশ্চিম চম্পারণ জেলার মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে নিজের অভিযোগ দায়ের করেন। ১৬ই জুন এই মামলার শুনানি হবে। গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহর থেকে করোনার মতো মারণ ভাইরাস ছড়ানোর কথা গোপন করার অপরাধে চীনা প্রেসিডেন্ট এবং হু-এর প্রধানকে অভিযুক্ত করেছেন মুরাদ। ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৬৯, ২৭০, ২৭১, ৩০২, ৩০৭, ৫০০, ৫০৪ ও ১২০ বি ধারায় তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই অতিমারী ছড়ানো ও তথ্য গোপন করার বিষয় বারবারই আক্রমণ করেছেন চীনকে। তিনি বলেছেন, এটা খুবই দুঃখের চীন করোনা ভাইরাসের ব্যাপারে তথ্য গোপন করেছে। অন্যদিকে হু প্রধান চীনের পক্ষ নেওয়ায়, করোনার রাজনীতিকরণে অভিযুক্ত করেন ট্রাম্প। তিনি হুঁশিয়ারিও দেন, চীনের পক্ষ নেওয়ার জন্য মার্কিন মুলুক হু-কে আর অর্থসাহায্য করবে না।
ট্রাম্প বলেন, ঘেব্রেউস যখন রাজনীতিকরণের কথা বলেছেন, তখন উনি রাজনীতিই করছেন। গত বছর হু এর জন্য আমরা ৪৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করেছি। তার আগের বছরগুলোতেও কয়েকশো মিলিয়ন আর্থিক সাহায্য করেছি। কিন্তু হু-এর শীর্ষকর্তা যে এই মুহূর্তে রাজনীতি করতে পারেন তা আমি বিশ্বাস করতে পারছি না। আপনারা চীনের সাথে ওদের সম্পর্কটা একবার দেখুন। চীন মাত্র ৪২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করেছে হু এর জন্য, যেখানে আমরা দিয়েছি ৪৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। কিন্তু এখন সবই হচ্ছে চীনের ইচ্ছানুসারে। এটা তো ঠিক কথা নয়। এখানে আমাদের প্রতি অন্যায় হচ্ছে। আমাদের থেকে সাহায্য নিয়ে চীনের সাথে বন্ধুত্ব? আর শুধু আমাদের সাথেই নয় গোটা বিশ্বের প্রতিও অন্যায় করা হচ্ছে।