ফের এক দফা কূটনৈতিক ও সামরিক আলোচনায় বসতে চলেছে ভারত ও চীন, কথা হবে সেনা সরানোর প্রক্রিয়া নিয়ে
উত্তেজনা প্রশমিত হওয়ার নামগন্ধ টুকুও নেই। এরই মাঝে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সেনা সরানোর প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যেতে ফের আরও এক দফা কূটনৈতিক ও সামরিক আলোচনায় বসতে চলেছে দুই প্রতিবেশী দেশ ভারত (India) ও চীন (China)।
ক্রমাগতই লাদাখ সেক্টরে সংঘাতের এলাকাগুলিতে স্থিতাবস্থা ফেরানোর বিষয়ে বেজিংকে চাপে রেখেছে ভারত। তারই অঙ্গ হিসেবে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সেনা সরানোর প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আরও এক দফা কূটনৈতিক ও সামরিক আলোচনায় বসতে চলেছে ভারত ও চীন।
ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব (Anurag Srivastava) জানিয়েছেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দু’দেশের কোর কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক হবে। একইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সমান্তরালভাবে ডব্লুউএমসিসির (WMCC) বৈঠকও দ্রুত হতে পারে।’ সে বিষয়ে অবশ্য বিস্তারিত কোনও তথ্য দেননি বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র।
গত ২১শে সেপ্টেম্বর মলডোয় আয়োজিত ১৩ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা ষষ্ঠ কমান্ডার বৈঠকেও সেনা সরানোর বিষয়ে কোনও সমাধানসূত্র মেলেনি। প্রায় ৫০ দিন পর দু’দেশের কমান্ডারদের বৈঠকের পর অবশ্য যৌথ বিবৃতি জারি করা হয়েছিল। সেই যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়েছিল, সীমান্তবর্তী এলাকায় আরও জওয়ান পাঠাবে না কোনও দেশ এবং একতরফাভাবে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পরিবর্তনের চেষ্টা থেকে বিরত থাকবে দু’দেশ।
আধিকারিকরা জানিয়েছেন, চীনের প্রস্তাবের পরিবর্তে সমস্ত সংঘাতপূর্ণ অঞ্চল থেকে সম্পূর্ণ সেনা সরানোর দাবিতে অটল থাকবে নয়াদিল্লি (New Delhi)। গত এপ্রিলের আগে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় যে অবস্থা ছিল, তা ফিরিয়ে আনার উপর জোর দেওয়া হবে, যাতে পুরোপুরি সেনা সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। চীন আবার সেনা সরানোর প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে প্যাংগং সো লেকের দক্ষিণ তীরের কৌশলগত উচ্চতা থেকে ভারতকে সেনা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছে বেজিং (Beijing)। যে দাবি খারিজ করে দিয়েছে ভারত।