সীমান্তে যাবতীয় ঝামেলার জন্য দায়ী শুধুমাত্র ভারত। দেশের সীমান্ত রক্ষায় আমাদের সেনা বদ্ধপরিকর। বিবৃতি দিয়ে জানাল বেজিং!
সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (SCO)-(Shanghai co operation organisation)এর বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য ভারত-চীন দুই দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীই(Defence Minister) এখন রয়েছেন রাশিয়া(Russia) সফরে। কিন্তু এই মিট-এর বাইরেও লাদাখের সীমান্ত উত্তেজনা ও সমস্যা সংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলার জন্য ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের(Rajnath Singh) কাছে আলাদা করে কিছুটা সময় চেয়েছিলেন চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল ওয়েই ফেংহে(General Wei Fenghe)।
তাঁর আবদনে সাড়া দিয়ে এদিন চীনা প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। যদিও সীমান্তে উত্তেজনার পর থেকে এর আগেও দুবার চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রক ভারতের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব রেখেছিল। তবে চীনের সেই আবেদনে সাড়া দেয়নি ভারত। পিছনে কারণ হিসেবে ছিল চীনের মাত্রাহীন আগ্রাসন। এমনকী রাশিয়া সফরে যাওয়ার আগেও তিনি জানিয়েছিলেন, চীন ও পাকিস্তানের নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনায় বসার প্রশ্নই নেই। কিন্তু শেষমেশ আড়াই ঘন্টা বৈঠক হয়েছে। তবে সমস্যার সমাধান সূত্র বেরোয়নি। আর সেটা স্পষ্ট হয়ে গেছে চীনা প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বয়ানে। প্রায় আড়াই ঘণ্টার লম্বা বৈঠকে মেলেনি কোন সমাধান। বেজিং(Beijing)-এর তরফে শনিবার সকালে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ”আমরা আমাদের জমির এক ইঞ্চিও ছাড়ব না।
দেশের সীমান্ত রক্ষার জন্য আমাদের সেনা বদ্ধপরিকর। সীমান্তে যাবতী ঝামেলার জন্য দায়ী শুধুমাত্র ভারত। সীমান্তে এই গোলযোগের পিছনে ঠিক কী কারণ রয়েছে তা এখন সবার কাছে পরিষ্কার। আর আমরা আরও একবার জানিয়ে রাখছি যে চীন এক ইঞ্চি জমিও ছাড়বে না। দেশের সীমানা রক্ষায় আমাদের সেনা দিন-রাত পাহারায় রয়েছে।” তবে এদিন নিজের বক্তব্য ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংও শুনিয়ে রাখেন, ভারত নিজের অবস্থান থেকে সরছে না। চীনের আগ্রাসী মনোভাবের সামনে মাথা নোয়ানোর প্রশ্নই নেই। ভারতীয় ভূখণ্ড রক্ষার জন্য ভারতীয় সেনার জওয়ানরাও সমানভাবে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।