চীনের সঙ্গে টক্কর আরও জোরদার হওয়ার সম্ভাবনা, মিত্র দেশগুলিকে আহ্বান জানিয়ে বেজিংয়ের বিরুদ্ধে কড়া হুঁশিয়ারি বাইডেনের
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর মাথাচাড়া দিয়েছে চীন। তার বিরুদ্ধে অন্যান্য দেশের অভিযোগ কম নয়। বিশ্বের নানান দেশ মিলেই চীনকে একঘরে করেছে বলা যেতে পারে। সেই তালিকায় রয়েছে আমেরিকাও। মার্কিন আধিপত্যকে লাগাতার চ্যালেঞ্জ জানিয়ে গিয়েছে চীন। আর ভবিষ্যতেও সেই টক্কর আরও জোরদার হতে চলেছে বলেই মনে করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
গতকাল, শুক্রবার হোয়াইট হাউসে এক অনুষ্ঠানে চীনের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ঘোষণা করেন বাইডেন। এদিন চীনের অভিসন্ধির কথা স্পষ্ট জানিয়ে তিনি বলেন, “চীনের সঙ্গে আমাদের কড়া টক্কর হতে চলেছে। আমি এমনটাই আশা করছি এবঙ্গেই পরিস্থিতিকে স্বাগতও জানাচ্ছি। ইউরোপ ও আমেরিকার সঙ্গে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের বন্ধু দেশগুলির সঙ্গে ৭০ বছরের সম্পর্কে তৈরি বিশ্ব পরিকাঠমোয় আমি বিশ্বাস করি”।
Competition with China is going to be stiff. That’s what I expect, and that’s what I welcome, because I believe in the global system Europe and the United States, together with our allies in the Indo-Pacific, worked so hard to build over the last 70 years: US President Joe Biden pic.twitter.com/YXRXYe3uVP
— ANI (@ANI) February 19, 2021
Related Posts
এদিন তিনি আরও বলেন “অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে চীনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে আমাদের। আন্তর্জাতিক অর্থনীতির ভিত ও পরিকাঠামোয় আঘাত করেছে দেশটি। বিশ্বে শান্তি বজায় রাখতে চীনের সঙ্গে কৌশলগত প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে”।
প্রসঙ্গত, মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিদায়ের পর অনেকেই ভেবেছিলেন যে চীনের প্রতি কিছুটা নরম হবেন বাইডেন। কিন্তু সেই জল্পনাকে মিথ্যে প্রমাণ করলেন নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সম্প্রতি, তাইওয়ান নিয়েও চীনকে কড়া বার্তা দেয় আমেরিকা। কয়েকদিন আগেই তাইওয়ান সীমানার খুব কাছে ঢুকে পড়ে কয়েকটি চীনা যুদ্ধবিমান। তবে মূল ভূখণ্ডের আগে থেকেই ফিরে যায় তারা। এই কারণে চীনকে কড়া হুঁশিয়ারি শানায় মার্কিন মুলুক। এমনকি, লাদাখ সীমান্ত সংঘর্ষে ভারতের পাশে থাকার আশ্বাসও জানান বাইডেন।