নিজের বক্তব্যের অর্থ কী দাঁড়াতে পারে সেটা ভেবে কথা বলুন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর নিশানায় বর্তমান!
লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় সীমান্ত সংঘর্ষ ইস্যুতে এবার মুখ খুললেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং৷ লাদাখে চীনা সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ২০ জন জওয়ানের শহীদ হওয়ার ঘটনা নিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী৷ বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তাঁর পরামর্শ, ‘নিজের বক্তব্যের অর্থ কী দাঁড়াতে পারে তা নিয়ে সতর্ক হওয়া উচিত প্রধানমন্ত্রীর৷’
গত শুক্রবার সর্বদলীয় বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী জানান, ভারতীয় ভূখণ্ডের কোনও অংশ বা সেনা পোস্ট দখল করতে পারেনি চীন৷ এর পরই বেজিং দাবি করে, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যেই স্পষ্ট করছে সেদিনের ওই সংঘর্ষ চীনা ভূখণ্ডেই ঘটেছিল এবং তাঁদের জমিতে অনুপ্রবেশ করেছিল ভারতীয় সেনাই৷ প্রধানমন্ত্রীর এহেন বক্তব্যকে হাতিয়ার করে দেশের মধ্যেও একই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে৷ প্রধানমন্ত্রীকে আক্রম্রণ করেন বিরোধীরাও। এবার এই বক্তব্যকে নিশানা করেই বর্তমানকে বিঁধলেন প্রাক্তন।
একই সঙ্গে তিনি প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন করেছেন ‘দেশের নিরাপত্তা এবং অখণ্ডতার স্বার্থে কর্নেল সন্তোষবাবু এবং অন্যান্য জওয়ানরা যে চূড়ান্ত আত্মবলিদান দিয়েছেন, তা যাতে বৃথা না যায়, সরকারকে তা নিশ্চিত করতে হবে৷’ মনমোহন আরও বলেছেন, সরকার যদি তা করতে ব্যর্থ হয় তাহলে তা ‘মানুষের আস্থার প্রতি ঐতিহাসিক বিশ্বাসঘাতকতা’ হিসেবেই চিহ্নিত হয়ে থাকবে৷
বিবৃতিতে মনমোহন লেখেন ‘এই মুহূর্তে আমরা ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে৷ সরকার কী সিদ্ধান্ত নেয়, তার উপর আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের অনেক কিছুই নির্ভর করছে৷ যাঁরা আমাদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তাঁদের উপরেই এই মহৎ দায়িত্ব রয়েছে৷ আমাদের গণতন্ত্র অনুযায়ী এই দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রীর দফতরের উপরে ন্যস্ত রয়েছে৷ তাঁর কথার কী মানে দাঁড়াতে পারে এবং দেশের নিরাপত্তা, রণকৌশল ও স্বার্থের উপরে তার কী প্রভাব পড়তে পারে, প্রধানমন্ত্রীর সেই বিষয়ে সব সময়ে সতর্ক থাকা উচিত৷’