দেশে বিদেশে

নতি স্বীকার! দেশের রাজনৈতিক বিবাদ মেটাতে ভারতের সঙ্গে আলোচনার পথে নেপালের প্রধানমন্ত্রী ওলি

বিজ্ঞাপন

চীনের মদতে ভারতের বিরুদ্ধে গিয়েছিলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। লিপুলেখ নিয়ে উত্তেজনা তৈরি করে ভারতের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছিলেন তিনি। কিন্তু অবশেষে নয়া দিল্লির চাপের মুখে পড়ে ও নিজের দেশের রাজনৈতিক অন্দরে বিবাদের মুখে পড়ে ভারতের কাছে নতি স্বীকার করতে বাধ্য হচ্ছেন নেপাল প্রধানমন্ত্রী। নিজেই একথা জানান তিনি।

বিজ্ঞাপন

গত রবিবার প্রধানমন্ত্রী ওলির সুপারিশ মেনে নেপালের জাতীয় সংসদ মুলতুবি রাখেন রাষ্ট্রপতি বিদ্যাদেবী ভাণ্ডারী। পরবর্তী নির্বাচনের দিনও ঘোষণা করা হয়। এইভাবে হঠাৎ একতরফা সংসদ মুলতুবি রাখা  নিয়ে অসন্তুষ্ট হন ওলির দল নেপাল কমিউনিস্ট পার্টি। এরই মধ্যে, ওলি মনে করেন, তাঁর দলের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরমে উঠেছে। এদিকে, এভাবে সংসদ মুলতুবি রাখাকে ‘সাংবিধানিক আঘাত’ হিসেবে দেখছেন ওলির বিরোধী পক্ষ। নেপাল প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে গতকাল সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তারা। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে ও রাজনীতির অন্দরে বিবাদ মেটাতে ভারতের সঙ্গে আলোচনার পথে হাঁটতে চাইছেন নেপাল প্রধানমন্ত্রী।

বিজ্ঞাপন

এদিকে, কিছুদিন আগেই নেপাল সফরে গিয়েছিলেন ভারতের সেনাপ্রধান মনোজ মুকুন্দ নারাভানে। সেখানে ওলির সঙ্গে তাঁর বাসভবনে বৈঠকও সারেন নারাভানে। একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় এই বৈঠকে। এরপর থেকেই ভারত-নেপাল সম্পর্ক ঠিক হতে শুরু করে। ভারতীয় চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াতও কাঠমান্ডুকে সতর্ক করে বলেন যে চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার আগে তাদের শ্রীলঙ্কাকে দেখে কিছু শিক্ষা নেওয়া উচিত। এইসব মিলিয়েই চাপের মুখে পড়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনার বসতে চাইছে চীন।

বিজ্ঞাপন

প্রসঙ্গত, কিছু মাস আগে উত্তরাখণ্ডের লিপুলেখ থেকে মানস সরোবর পর্যন্ত একটি রাস্তা তৈরির কাজ শুরু করা হয় ভারতের তরফ থেকে। এই সময়ই লিপুলেখ, কালাপানি-সহ তিনটি ভারতীয় ভূখণ্ডকে নিজেদের বলে দাবী করে নেপাল। ভারতের একটি বিতর্কিত মানচিত্রও বানিয়ে ফেলে তারা। তবে নেপাল যে অন্য কারোর প্ররোচনায় এমনটা করছে, এমন কথাও জানান নারাভানে। এর পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেন নেপালের বিদেশমন্ত্রীও।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
Back to top button

Discover more from Khabor24x7

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading