দেশে বিদেশে

গোগরা উষ্ণপ্রস্রবণ থেকে পিছু হঠছে লালফৌজের দল, এবার লক্ষ্য প্যাংগং সো

বিজ্ঞাপন

এবার পিছু হঠছে চীন সেনা! লালফৌজের দল বৃহস্পতিবার পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার (এলএসি) গোগরা উষ্ণপ্রস্রবণ এলাকা থেকে পুরোপুরি পিছু হঠেছে।  প্রথম পর্যায়ে উভয় পক্ষের মনোনীত স্থান থেকে সেনা প্রত্যাহার সম্পন্ন হল দুই দেশের তরফেই। আগামী শুক্রবার আবার ভারত ও চীনের মধ্যে আলোচনা হবে দুই পক্ষের সেনাবাহিনীকে অন্যান্য স্থান থেকে সরিয়ে নিতে।

বিজ্ঞাপন

অন্যদিকে, পররাষ্ট্রমন্ত্রক থেকে জানানো হয়েছে, ভারত গালওয়ান উপত্যকায় চীনের দাবি মানছে না। ভারত নিজের আঞ্চলিক অখন্ডতা রক্ষা করতে সর্বদাই প্রস্তুত। সূত্র মতে জানা গিয়েছে, চীন ও ভারত দুই দেশই তিন কিলোমিটারের বাফার জোন তৈরির কাজ সম্পন্ন করে দিয়েছে। সেই কারণে দুই পক্ষের সেনাবাহিনী গালওয়ান উপত্যকা, গোগরা ও সূত্রমতে, দুই দেশ তিন কিলোমিটারের বাফার জোন তৈরির প্রক্রিয়া শেষ করেছে। সেই মোতাবেক উভয় সেনাবাহিনী গালওয়ান ভ্যালি, গোগরা উষ্ণপ্রস্রবণ এলাকা থেকে সরে আসে। বৃহস্পতিবার চীনও পেট্রলিং পয়েন্ট ১৭ থেকে সেনা প্রত্যাহার করেছে ।

বিজ্ঞাপন

পররাষ্ট্রমন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেছেন যে, রবিবার এনএসএ অজিত ডোভাল এবং চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে দুই ঘণ্টার টেলিফোনে আলাপচারিতায় ভারত নিজের অবস্থান পরিষ্কার করে দিয়েছিল যে এলএসি-তে কোনও পরিবর্তন বরদাস্ত করা হবে না । ভারত সাফ জানিয়ে দিয়েছে, গালওয়ান উপত্যকার নিকটে যে কোনও ধরণের নির্মাণ সম্পর্কে ভারত গুরুত্ব দেবে। এখানে কোনও ধরণের গন্ডগোল সহ্য করা হবে না।

বিজ্ঞাপন

জানা গিয়েছে, দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রক্রিয়া সিদ্ধান্ত নিতে শুক্রবার একটি অনলাইন সভা হবে। এতে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের পূর্ব এশীয় বিষয়ক যুগ্ম সচিব নবীন শ্রীবাস্তব চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মহাপরিচালক উ জিয়াংহাওর সঙ্গে আলোচনা করবেন। কমান্ডার-স্তরের আলোচনাও আগামী সপ্তাহের প্রথম দিকে হতে পারে ।

বিজ্ঞাপন

দ্বিতীয় পর্যায়ে, প্যাংগং লেকে ফোকাস করা হবে। সেখানে ফিঙ্গার অঞ্চল ৪ এর কিছু চীনা সেনা পিছু হঠে গিয়েছে। ভারত ক্রমাগত জোর দিয়ে আসছে যাতে চীন ফিঙ্গার ৪ এবং ফিঙ্গার ৮ থেকে পুরো সেনা প্রত্যাহার করে নেয়।

এই নিয়ে কমান্ডার-স্তরের আলোচনার চতুর্থ দফা আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। পরের কয়েক দিনের মধ্যে উভয় সেনাবাহিনী এলএসি-তে সেনা প্রত্যাহার পর্যালোচনা করবে। সেনা তরফ থেকে জানানো হয়েছে, চীন যতক্ষণ না পর্যন্ত সমস্ত সেনা সরিয়ে নেবে ততক্ষণ পর্যন্ত ভারত চীনকে চাপ দেওয়া থামাবে না।

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Back to top button

Discover more from Khabor24x7

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading