ভারত ও আফগানিস্তানের মধ্যে অবিলম্বে বিমান চলাচল শুরু হোক, চিঠি লিখে কাতর আর্জি তালিবানের
ভারত ও আফগানিস্তানের মধ্যে ফের শীঘ্রই চালু হোক বিমান পরিষেবা। এই মর্মে ডিজিসিএ-কে চিঠি লিখে আবেদন জানাল আফগানিস্তানের নতুন তালিবান সরকারের মন্ত্রী আলহাজ হামিদুল্লা আখুন্দজাদা। এমনই দাবী করা হল এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে। এই প্রতিবেদনে এও দাবী করা হয়েছে যে গত ৭ই সেপ্টেম্বর এই চিঠি লেখা হয়েছে।
কী লেখা হয়েছে ওই চিঠিতে?
ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী আখুন্দজাদা লিখেছে, “আপনারা জানেন মার্কিন সেনা ক্ষমতা হস্তান্তরের আগে কাবুল বিমানবন্দরকে ক্ষতিগ্রস্ত ও অকেজো করে দিয়েছে। কিন্তু পরে কাতারের বন্ধুদের সহায়তায় বিমানবন্দরটি ফের কর্মক্ষম হয়ে উঠেছে”। এর পাশাপাশি আখুন্দজাদা আবেদন করে যাতে দুই দেশের মধ্যে বিমান চলাচল ফের আগের মতোই মসৃণ হয়। ভারত যাতে এই উদ্দেশ্যে ফের পদক্ষেপ করে, এমন আর্জিও জানানো হয়।
গত ১৫ই আগস্ট কাবুল দখলের মাধ্যমে আফগানিস্তান কবজা করে নেয় তালিবান। কাবুল বিমানবন্দর থেকেই ভারতগামী শেষ বিমান ছেড়েছিল গত ২১শে আগস্ট। প্রায় দু’দশক পর ফের জেহাদিরা আফগানিস্তান দখল করে তালিবান সরকার প্রতিষ্ঠা করেছে।
তবে ভারতের তরফে এখনও পর্যন্ত এই তালিবান সরকারকে কোনও স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। যদিও গত ৩১শে আগস্ট কাতারে তালিবান প্রতিনিধির সন্মগে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত দীপক মিত্তল সাক্ষাৎ করেন। কিন্তু তবুও তালিবান সরকারকে এখনও স্বীকৃতি দেয়নি ভারত।
এমন পরিস্থিতিতে তালিবান এবার ভারতকে আর্জি জানাল যাতে দুই দেশের মধ্যে বিমান চলাচল শুরু করা হয়। তবে সর্বভারতীয় ওই সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে যে আপাতত কাবুল বিমানবন্দর ও আফগানিস্তানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখছে ভারত।
গত ৯ই সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় বিমান পরিষেবা মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া আফগানিস্তানের সঙ্গে বিমান চলাচল প্রসঙ্গে জানান, “আমরা এখন আফগানিস্তানের আকাশপথকে এড়াতে দীর্ঘ রুট ধরে চলাচল করছি। অন্য আন্তর্জাতিক উড়ান সংস্থাও সেটাই করছে। পরিস্থিতি ঠিক হলে আবার পুরনো পথই ব্যবহার করা হবে”।