মহাবিপদে তৃণমূল! কংগ্রেসে ফিরে যেতে পারেন ১২ তৃণমূল বিধায়ক, ঝুলি শূন্য হওয়ার আশঙ্কায় ভুগছে মমতার দল
মেঘালয়ে বড় ধাক্কা খেতে চলেছে তৃণমূল। গত নভেম্বরে কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া ১২ জন বিধায়ক ফের ফিরে যেতে পারেন কংগ্রেসে, এমনটাই শোনা যাচ্ছে আপাতত। গত নভেম্বরেই কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন এই ১২ জন বিধায়ক। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই মোহভঙ্গ হল তাদের।
তবে ঠিক কী কারণে তারা তৃণমূল ছেড়ে পুরনো দলে ফিরে যেতে চলেছে, তা এখনও জানা যায়নি। আগামী বছরই নির্বাচন রয়েছে মেঘালয়ে। আর এর আগেই যদি ১২ জন বিধায়ক তৃণমূল ছেড়ে বেরিয়ে আসে, তাহলে যে তা ঘাসফুল শিবিরের জন্য এক বড়সড় ধাক্কা হতে চলেছে, তা তো বলাই বাহুল্য।
তৃণমূল মেঘালয়ে এর আগে ভোটে লড়ে নি। তাদের একমাত্র শক্তি ছিল কংগ্রেস থেকে ভাঙিয়ে আনা এই ১২ জম বিধায়ক। গত নভেম্বর মাসে মেঘালয়ের প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমার নেতৃত্বে এই ১২ জন বিধায়ক যোগ দেন তৃণমূলে। এই নেতাদের উপর ভরসা করেই উত্তর-পূর্বের ওই রাজ্যে নিজেদের ঘাঁটি শক্ত করতে উদ্যত হয় তৃণমূল। কিন্তু সেই বিধায়করাই যদি দল থেকে বেরিয়ে আসে, তাহলে তৃণমূল একেবারেই ভেঙে পড়বে এই রাজ্যে।
কিছুদিন ধরেই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল যে তৃণমূলের সঙ্গে নাকি এই ১২ জন বিধায়কদের সম্পর্ক খুব একটা ভালো নয়। এমনও মাঝে রটেছিল যে তারা বিজেপির বন্ধু তথা মেঘালয়ের শাসকদল এনপিপি অর্থাৎ ন্যাশানাল পিপলস পার্টিতে যোগ দিতে পারেন। তবে মুকুল সাংমা এনপিপিতে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে বলেছিলেন, “এনপিপির নেতৃত্ব খুবই দুর্বল”। তিনি অভিযোগ করে এও বলেছিলেন, “বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্ব মেঘালয়ের উপকারের থেকে বেশি ক্ষতি করেছে”।
বলে রাখি, নানান আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে তৃণমূলকে কিন্তু প্রায় সমানে সমানে টক্কর দিচ্ছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল আম আদমি পার্টি। দিল্লি ছাড়াও পঞ্জাবে ক্ষমতা গড়ে ফেলেছে তারা। গোয়াতেও রয়েছে তাদের বিধায়ক। এদিকে অসমের পুরভোটেও তাদের খাতা খুলেছে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে গোটা দেশে বিরোধী নেত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আলাদা কদর থাকলেও, দলগতভাবে কিন্তু জাতীয় রাজনীতিতে ঠিক জমি শক্ত করতে পারছে না তৃণমূল। আর এর উপর যদি মেঘালয়ের ১২ জন বিধায়ক কংগ্রেসে ফিরে যান, তাহলে তা তৃণমূলের কাছে এক দুঃস্বপ্ন হয়ে দাঁড়াতে পারে।