India

১১ই মার্চ থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে ভারতে ২ কোটি সন্তান ভূমিষ্ঠ হবে, পূর্বাভাস ইউনিসেফের

বিজ্ঞাপন

চলতি বছরের মার্চ মাসে করোনা ভাইরাসকে অতিমারী বলে ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর পরবর্তী ৯ মাসের মধ্যে ভারতে প্রায় ২ কোটি সন্তান ভূমিষ্ঠ হবে বলে পূর্বাভাস ইউনিসেফের।

বিজ্ঞাপন

চলতি করোনার জেরে দুর্বার হচ্ছে মানুষের জীবন, ধুঁকছে অৰ্থনীতি। এরই মাঝে ইউনিসেফের এই বার্তা কিসের ইঙ্গিত বহন করছে? তাদের সতর্কবাণীতে কিছুটা হলেও নেতিবাচক সুর শোনা যাচ্ছে। তাদের আশঙ্কা বিশ্ব অতিমারীর সময়ে অন্তঃসত্ত্বা মহিলা এবং ভূমিষ্ঠ শিশুরা ভঙ্গুর স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ও স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যাঘাতের ফলে বিপদের সম্মুখীন হতে পারে।

বিজ্ঞাপন

বুধবার ইউনিসেফ জানিয়েছে, কোভিড-১৯ এর ছায়াতলে সারা বিশ্বে প্রায় ১১.৬ কোটি শিশু জন্মাবে। প্রসঙ্গত, গত ১১ মার্চ কোভিড-১৯ কে অতিমারী হিসেবে উল্লেখ করার পর থেকে ৪০ সপ্তাহ পর্যন্ত যে শিশুরা জন্মগ্রহণ করবে, তাদের ওপরই এই পূর্বাভাস করা হয়েছে। ওই সমীক্ষা অনুযায়ী, অতিমারী ঘোষণা হওয়ার পর ৯ মাস পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংখ্যক শিশু জন্মগ্রহণ করবে ভারতে। আনুমানিক ২.০১ কোটি শিশু ১১ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে ভারতে জন্ম নেবে। বর্তমান পরিস্থিতির নিরীখে তা খুবই চিন্তার বিষয়। কারণ দেশে যেভাবে সংক্রমনের হার বেড়েই চলেছে তাতে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পরিকাঠামো ক্রমশ প্রভাবিত হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

তবে শুধু ভারত নয় আরও কিছু দেশ এই তালিকাভুক্ত রয়েছে, যেখানে রেকর্ড মাত্রায় শিশু জন্মাবে। সেগুলি হল- চিনে আনুমানিক ১.৩৫ কোটি, নাইজিরিয়ায় প্রায় ৬৪ লক্ষ, পাকিস্তানে ৫০ লক্ষ, ইন্দোনেশিয়ায় প্রায় ৪০ লক্ষ এবং সবশেষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রায় ৩৩ লক্ষ শিশু জন্ম নিতে চলেছে।

বিজ্ঞাপন

ইউনিসেফ বলেছে, এই দেশগুলিতে এমনিতেই শিশু মৃত্যুর হার বেশি। তারপর কোভিড-১৯ এর এই পরিস্থিতিতে শিশু মৃত্যুর প্রবণতা আরও কয়েকগুণ বেড়ে যেতে পারে। এমনিতেই করোনা সংক্রমনের জেরে মায়ের শরীর থেকে শিশুর শরীরে সংক্রমনের আশঙ্কা থেকেই যায়। সংস্থা আরও দাবি করেছে, কোভিড-১৯ সংক্রমণের ফলে যে কন্টেনমেন্টের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তার ফলে অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের ঝুঁকি ও বিপদ আরও কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে।

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Back to top button

Discover more from Khabor24x7

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading