জাতীয় সড়কপথ বিস্তৃতির ক্ষেত্রে ২০১৯সালের মাত্রাও পেরিয়ে গেল ২০২০। করোনা পরিস্থিতি, শত প্রতিকূলতা থাকা সত্ত্বেও ২০২০ সালে প্রতিদিন গড়ে তৈরি হল প্রায় ২৯ কিলোমিটার করে রাস্তা, এমন রিপোর্টই প্রকাশ করল সর্বভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যম।
করোনা পরিস্থিতির কারণে লকডাউনের জেরে বেশ কিছু প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হয়েছে মানুষকে। কিন্তু সব প্রতিকূলতা কাটিয়েও ‘নিউ নর্মাল’কে নিয়ে মানুষ অভ্যস্ত হতে শিখেছে। এই করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও জাতীয় সড়ক বিস্তৃতির ক্ষেত্রে দেখা দিয়েছে এক প্রভূত উন্নতি। জানা গিয়েছে, গত বছর ডিসেম্বরের শেষ পর্যন্ত মোট ৭,৭৬৭ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি করা হয়েছে, যা হিসেব করলে দাঁড়ায় প্রতিদিন গড়ে প্রায় ২৯ কিলোমিটার করে। ২০১৯ সালে মোট ৬,৯৪০ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি হয়েছিল।
এই বিষয়ে সড়ক মন্ত্রক আধিকারিকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে , “লকডাউনের জেরে দু’মাস কাজ বন্ধ থাকার পরেও যে আমরা এই বছর সবচেয়ে বেশীমাত্রায় রাস্তা তৈরি করতে পেরেছি, সেই কারণে আমরা খুব খুশি। শেষ রেকর্ড হয়েছে ২০১৮-২০১৯ বর্ষে, সেই সময় প্রতিদিন গড়ে ২৯.৭ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি হয়েছিল। শুধুমাত্র ডিসেম্বরেই ১,৫৬০ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি হয়েছে। মার্চের মধ্যে ১১,০০০ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি করার লক্ষ্যে রয়েছি আমরা”।
জানা গিয়েছে, ডিসেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত সময় রাস্তা তৈরির পক্ষে সহায়ক। এবার মন্ত্রকের তরফ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হবে যাতে প্রতিদিন গড়ে ৩৫ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি করা যায়।
Related Posts
রাস্তা তৈরির ক্ষেত্রে সঠিক পারিশ্রমিকও এই বিষয়ে বেশ সাহায্য করেছে। সড়ক মন্ত্রকের একটি ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, “এটা লক্ষ্য করা গিয়েছে যে শিডিউল-এইচের দ্বারা ঠিকাদারদের সঠিক পারিশ্রমিক ও রাস্তা তৈরির সমস্ত খরচা ঠিকঠাক শিথিল হওয়ার কারণে এই রাস্তা তৈরির কাজ আরও বেশি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এই কারণেই করোনা পরিস্থিতির মতো জটিল সময়েও জাতীয় সড়কপথ বিপুল বিস্তৃত করা সর্বাগ্রে সুবিধা হয়েছে। এই কারণেই সরকার থেকে স্থির করা হয়েছে যে এই শিডিউল-এইচের মেয়াদকে ২০২১ সালের ৩০শে জুন পর্যন্ত বাড়ানো হবে”। এই শিডিউল-এইচের সুবিধার দ্বারা সরকার লক্ষ্য রাখে যাতে করোনার জেরে লকডাউনের সময়ও ঠিকাদারদের হাতে রাস্তা তৈরি করার জন্য উপযুক্ত অর্থ থাকা।