India

গুজরাতের মোরবির ছায়া এবার বিহারেও, ছটপুজোয় জলে ডুবে মৃত্যু ৫৩ জনের, মৃত্যুমিছিল রাজ্যে

বিজ্ঞাপন

উৎসবের মধ্যে শোকের ছায়া বিহারে। চারদিন ব্যাপী ছটপুজোতে সে রাজ্যের নানান প্রান্তে জলে ডুবে মৃত্যু হল মোট ৫৩ জনের। বিহারের একাধিক নদীতে তলিয়ে গিয়েছেন একাধিক পুণ্যার্থী, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর তরফে একথাই জানানো হয়েছে। মৃতদের পরিবারগুলিকে আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার।

বিজ্ঞাপন

দীপাবলি শেষ হতেই গোটা বিহার মেতেছিল ছট পুজোয়। চার দিন ধরে ছট পুজো পালন করেন সাধারণ মানুষ। এর মধ্যেই রাজ্যের নানান প্রান্তে শোকের ঘটনা। জলে ডুবে মোট ৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে যে গত ৩০শে অক্টোবর শুধুমাত্র পুর্নিয়া জেলায় ডুবে মারা গিয়েছে ৫ জন।

বিজ্ঞাপন

অন্যদিকে পটনা, মুজফ্ফরপুর, সমস্তিপুর এবং সহর্সতে ৩ জন করে মারা গিয়েছেন। আবার, গয়া, বেগুসরাই, কাটিহার, বক্সার, কাইমুর, সীতামঢ়হি, বাঁকায় ১ জন করে মারা গিয়েছেন। উৎসবের শেষ দিন অর্থাৎ ৩১শে অক্টোবর গোটা রাজ্যে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

উৎসবের মধ্যে এই বিপুল পরিমাণ মৃত্যুর ঘটনায় শোক প্রকাশ করেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার। এর পাশাপাশি মৃতদের পরিবারকে ৪ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করেন তিনি। দ্রুত মৃতদের শনাক্ত করে পরিবারগুলিকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। জেলাশাসকদের এমনই নির্দেশ দিয়েছেন নীতিশ কুমার।

বিজ্ঞাপন

এদিকে আবার, ছট পুজোতে আসানসোলে খোঁজ মিলছিল না তৃণমূল সাংসদ বিহারীবাবু অর্থাৎ শত্রুঘ্ন সিনহার। সেই নিয়ে আসানসোলের কুলটিতে পোস্টারে ছয়লাপ হয়ে যায়। পোস্টারে লেখা ছিল, “ছটপুজোতেও খোঁজ নেই বিহারীবাবুর”। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বেশ চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়।

গত বৃহস্পতিবার রাতে আসানসোলের কুলটি-সহ একাধিক দেখা যায় ওই পোস্টারগুলি। সেখানে সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহার ছবি দেওয়া হয়েছে। তার উপর বড়বড় করে হিন্দিতে লেখা, ‘নিখোঁজ’। তাতে আরও লেখা, “মাননীয় সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহাজি বিহারীবাবু নামে পরিচিত। কিন্তু বিহারীদের সব থেকে বড় ছটপুজোর সময়েও নিজের লোকসভা কেন্দ্রে দেখা মিলছে না সাংসদের”। এরপরই নিজের সংসদীয় এলাকায় দেখা মেলে তৃণমূল সাংসদের।

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
Back to top button

Discover more from Khabor24x7

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading