‘দক্ষ ও প্রশিক্ষিতদের অত্যন্ত প্রয়োজন আমাদের কোম্পানিতে’, ‘অগ্নিবীরদের’ চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেন আনন্দ মাহিন্দ্রা

বর্তমানে ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্প নিয়ে গোটা দেশে যেন আগুন জ্বলছে। গোটা ভারতে ছড়িয়ে পড়েছে বিক্ষোভের আঁচ। কোথাও ট্রেন জ্বলছে, তো কোথাও আবার বাস। এই প্রকল্প বাতিলের দাবী আন্দোলন করছেন একাংশ। তবে এরই মধ্যে এক বড় সুখবর নিয়ে এলেন মাহিন্দ্রা গ্রুপের চেয়ারম্যান আনন্দ মাহিন্দ্রা। তিনি ঘোষণা করলেন যে যোগ্য ‘অগ্নিবীরদের’ তাঁর কোম্পানিতে চাকরি দেওয়া হবে।
এই প্রসঙ্গে একটি টুইট করে আনন্দ মাহিন্দ্রা লেখেন, “অগ্নিপথ প্রকল্পটিকে ঘিরে যেভাবে একের পর এক হিংসার ঘটনা সামনে এসে চলেছে, তা দুর্ভাগ্যজনক। এই প্রকল্পটির শুরুতে আমার মনে হয় যে, দক্ষ এবং প্রশিক্ষিত অগ্নিবীর অত্যন্ত প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। আমাদের কোম্পানিতে চাকরির ক্ষেত্রে তারা যোগ্য এবং উপযুক্ত হবে। তাই এই সকল অগ্নিবীরদের আমি আমার কোম্পানিতে কাজের সুযোগ দিতে চাই”।
Saddened by the violence around the #Agneepath program. When the scheme was mooted last year I stated-& I repeat-the discipline & skills Agniveers gain will make them eminently employable. The Mahindra Group welcomes the opportunity to recruit such trained, capable young people
— anand mahindra (@anandmahindra) June 20, 2022
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কেন্দ্র সরকারের মনোনীত সদস্য হিসাবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া-তে স্থান পেয়েছেন আনন্দ মাহিন্দ্রা। নানান সময়ই নানান ইস্যু নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মন্তব্য রাখেন তিনি। অগ্নিবীরদের নিয়ে তাঁর এই ঘোষণা যে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ, তা বলাই বাহুল্য। তবে অগ্নিবীরদের ঠিক কোন পদে চাকরি দেওয়া হবে, তা এখনও জানা যায়নি।
উল্লেখ্য, সেনাবাহিনীর লোকবল অক্ষুন্ন রেখে আধুনিকীকরণের জন্য কেন্দ্রের তরফে নতুন প্রকল্পের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যার নাম অগ্নিপথ। এর মাধ্যমে সেনায় অস্থায়ীভাবে চার বছরের জন্য কর্মী নিয়োগ করা হবে। এদের পোশাকি নাম হবে ‘অগ্নিবীর’। ১৭ বছর থেকে ২১ বছর পর্যন্ত বয়সীরা এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া যাবে। তবে বিক্ষোভের জেরে চলতি বছরে ভর্তির সময়ে ২৩ বছরের যুবকরাও এই প্রকল্পের অংশ হতে পারবে।
কিন্তু কেন্দ্রের ঘোষিত এই অগ্নিপথ প্রকল্প গোটা দেশে সেনায় চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে তীব্র বিক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। এভাবে অস্থায়ী পদে নিয়োগ নিয়ে অসন্তুষ্ট চাকরিপ্রার্থীরা। ইতিমধ্যেই দেশের নানান প্রান্তে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। সেই বিক্ষোভের আঁচ বাংলাতেও পড়েছে।