India

‘আমার পিছনে তৃণমূল আছে, কেউ আমার কিচ্ছু করতে পারবে না’, দিল্লিতে ইডি-র দফতরেও স্বমহিমায় কেষ্ট

বিজ্ঞাপন

আপাতত দিল্লিতে ইডি-র (Enforcement Directorate) হেফাজতেই দিন কাটছে তাঁর। এরপর আদালতে কী নির্দেশ দেয়, তার উপর নির্ভর করছে তাঁর পরবর্তী ঠিকানা তিহাড় জেল হবে কী না। ইতিমধ্যেই তাঁর হিসাবরক্ষককে গ্রেফতার করে জেরার পর অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে ইডি। ইডি-র দফতরে স্বমহিমাতেই রয়েছেন বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)।

বিজ্ঞাপন

ইডি সূত্রে খবর, দিল্লিতে বসেই বেশ বিস্ফোরক ভূমিকায় দেখা মিলেছে কেষ্টর। “আমার পিছনে দল রয়েছে, আপনারা আমার কিচ্ছু করতে পারবেন না”, ইডি আধিকারিকদের এমনটাই নাকি বলেছেন তিনি। এদিকে, দলের তরফে বলা হয়েছে যে দুর্নীতি প্রমাণ হলে কাউকে রেয়াত করা হবে না। এর জেরে পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়, কুন্তল ঘোষকে বহিষ্কার করেছে তৃণমূল। কিন্তু অনুব্রতকে কেন তাঁর পদে এখনও বহাল রাখা হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বারবার।

বিজ্ঞাপন

গত আগস্ট মাসে গরু পাচার কাণ্ডে গ্রেফতার করা হয় অনুব্রত মণ্ডলকে। সিবিআই তাঁকে গ্রেফতার করলেও পরবর্তীতে মাঠে নামে ইডি-ও। অনুব্রতর পাশে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূলের অন্যান্য নেতাদেরও। অনুব্রতকে তো বীরভূমের ‘বাঘ’ আখ্যা দেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।

বিজ্ঞাপন

এমনকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, অনুব্রতকে নিয়ে ভোটের রাজনীতি চলছে। সেই কারণে তাঁকে নাকি ব্যস্ততার সঙ্গে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মমতা বলেন, “কেন কেষ্টকে দিল্লি নিয়ে যাচ্ছে, পঞ্চায়েত ভোট আসছে বলে? তাহলে পঞ্চায়েত ভোট পর্যন্ত বা লোকসভা ভোট, ওরা অনেককে গ্রেফতার করবে। যাতে ভোট যেভাবেই হোক দখলে নিতে পারে। এটাই ওরা করে। ওদের অভ্যাস”।

বিজ্ঞাপন

মমতার এহেন মন্তব্যেই কী তাহলে অক্সিজেন পেয়েছেন তাঁর ‘প্রিয়’ কেষ্ট? বারবার প্রশ্ন উঠেছে যে অনুব্রতর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠলেও কেন দল তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না? এই বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, “অনুব্রত মণ্ডলের ক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা যথাসময়ে দল জানাবে”।

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
Back to top button

Discover more from Khabor24x7

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading